করের বোঝা বড়ল আমদানিকারীদের উপর। এখন থেকে সমুদ্রপথে আমদানি করা পণ্যের উপর পরিষেবা কর দিতে হবে। পণ্যের যে-ভাড়া হবে, তার ভিত্তিতেই হিসাব করা হবে পরিষেবা করের অঙ্ক।
সম্প্রতি সমুদ্রপথে আমদানি করা পণ্যের ভাড়ার উপর ৪.৫% হারে পরিষেবা কর বসিয়েছে কেন্দ্র। তবে বিমানে আমদানি করা পণ্যে তা বসানো হয়নি। উল্লেখ্য, আমদানি করা পণ্যের সিংহভাগই আসে সমুদ্রপথে।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে শুধু আমদানিকারীরাই নন, ক্ষক্ষিগ্রস্ত হবেন রফতানিকারীরাও। ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের অতিরিক্ত এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরঞ্জন গুপ্ত এই অভিযোগ এনে বলেন, ‘‘রফতানি-পণ্য উৎপাদনে অনেক কাঁচা মালই আমদানি করতে হয়। ওই কাঁচামাল আমদানি করার সময়ে যে-শুল্ক রফতানিকারীদের দিতে হয়, তা পরে সাধারণত ছাড় পান তাঁরা। কিন্তু পণ্য আমদানির জন্য ভাড়ার উপর যে-পরিষেবা কর দিতে হবে, তা ওই ছাড়ের আওতায় নেই।’’
আমদানি-পণ্যের ভাড়ার উপর কর হিসাব করার ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে বলে জানান সুরঞ্জনবাবু। তাঁর বক্তব্য, বিদেশ থেকে ভারতে পণ্য আমদানি করার সময়ে তার ভাড়া মেটায় বিদেশের প্রস্তুতকারক। ভাড়ার পরিমাণ বিলের মধ্যে পৃথক ভাবে উল্লেখ করাও থাকে না। তাই ভাড়া কত দেওয়া হয়েছে, তা জানার জন্য বিদেশের সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতকারকের সঙ্গে যোগায়োগ করেই তা জানতে হবে। পাশাপাশি, সুরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘নতুন ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে আমদানি-পণ্য বন্দর থেকে খালাস করার ক্ষেত্রেও সময় বেশি লাগবে বলে আমাদের আশঙ্কা। যার ফলে রফতানিকারীদের ওই বাবদ অতিরিক্ত অর্থ গুনাগার দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’’