কৃষি রফতানিতে আলাদা নীতি রাজ্যের রেডারে

আন্তর্জাতিক বাজারে পশ্চিমবঙ্গের কৃষিপণ্যের চাহিদা থাকলেও, সেগুলির রফতানি নিয়ে আলাদা কোনও নীতি ছিল না। রাজ্যের অন্যান্য পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে যে নীতি রয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত ছিল কৃষিও।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়  

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৯ ০১:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক বাজারে পশ্চিমবঙ্গের কৃষিপণ্যের চাহিদা থাকলেও, সেগুলির রফতানি নিয়ে আলাদা কোনও নীতি ছিল না। রাজ্যের অন্যান্য পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে যে নীতি রয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত ছিল কৃষিও। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বার কৃষিপণ্যের রফতানিতে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে পৃথক নীতি তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। যার মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন রফতানিযোগ্য কৃষিপণ্যকে চিহ্নিত করা, সেগুলির রফতানি বাড়ানো এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া। সে ক্ষেত্রে রফতানির হাত ধরে কৃষকদের বাৎসরিক আয়ও বাড়বে বলে মনে করছে রাজ্য।

Advertisement

উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বিশেষ ধরনের আলুর চাষ ও তার রফতানির বাজার ধরতে পারলে রাজ্যের চাষিদের সঙ্কটে পড়তে হবে না। নতুন নীতিতে এই ধরনের বিষয়গুলিতে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সূত্রের খবর, নতুন নীতি তৈরি করতে মুখ্যসচিবকে মাথায় রেখে কমিটি গঠন করা হবে। কৃষি, কৃষি বিপণন, উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের সচিবরাও সেই কমিটিতে থাকবেন। রাখা হবে কৃষিপণ্য রফতানিকারী সংস্থাগুলির সংগঠনের প্রতিনিধিদের। এর পাশাপাশি কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন পর্ষদের (অ্যাপিডা) মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কর্তাদেরও থাকার কথা। সেপ্টেম্বরের মধ্যে রফতানি নীতির খসড়া প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য তা পাঠিয়ে দেবে কমিটি।

Advertisement

প্রশাসনের এক কর্তা জানান, সংশ্লিষ্ট দফতরের ডিরেক্টরদের নিয়ে আলাদা একটি সাব-কমিটিও গঠন করা হবে। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলি মূল কমিটির কাছে পেশ করবে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement