প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব জুড়ে চাঙ্গা শেয়ার সূচক আর দেশের বাজারে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগ সেনসেক্সকে এই প্রথম ৬৩ হাজার পার করে দিল বুধবারই। ৪১৭.৮১ পয়েন্ট উঠে নজিরবিহীন ভাবে সূচক থামল ৬৩,০৯৯.৬৫ অঙ্কে। লেনদেনের মাঝে তার সর্বকালীন উচ্চতা ৬৩,৩০৩.০১। নিফ্টি-ও রেকর্ড গড়ে ১৮,৭৫৮.৩৫ অঙ্কে পা রেখে। এই নিয়ে সাত দিন টানা উঠল বাজার। এ দিন টাকার দামও অনেকখানি বেড়েছে। ৪১ পয়সা কমে এক ডলার হয় ৮১.৩১ টাকা।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ অবশ্য বলছেন, এই উত্থানের পিছনে ভারতীয় অর্থনীতির উন্নতি নেই। রয়েছে বিদেশি লগ্নিপ্রবাহ। ফলে ওই লগ্নি সরলেই যে কোনও সময় সূচক পড়তে পারে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ফের ভবিষ্যতের আশায় ভর করে বাড়ছে সূচক। মনে করছে বিদেশি লগ্নি আসলে দেশে উন্নতির ইঙ্গিত। এটাই আশঙ্কা বহাল রাখছে। কারণ, বাস্তবে এই অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি যথেষ্ট অনিশ্চিত। মূল্যবৃদ্ধি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সহনসীমার উপরে। টাকা তলানিতে। চড়া জ্বালানি। জিনিসের আগুন দর। ফলে মানুষের হাতে লগ্নিযোগ্য টাকার অভাব রয়েছে।’’
আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তও এ ব্যাপারে একমত। তাঁর দাবি, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা কেটেছে বলে ধারণা বাজার মহলের। আশা করা হচ্ছে, আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামানোয় সুদ বৃদ্ধির গতি কমবে। এই প্রেক্ষিতেই ফের বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতে শেয়ার কিনেছে। সাত দিনের টানা উত্থান ও রেকর্ড তারই ফল। জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের গবেষণা বিভাগের প্রধান বিনোদ নায়ারের দাবি, রেকর্ড গড়লেও লগ্নিকারীরা সতর্ক। তারা আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের বার্তা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন।