ফাইল চিত্র।
মাস শুরু হওয়ার সময় তার পা ছিল ৫২,৫৮৭-র কাছে। মাত্র ১৭ দিনের মধ্যে নজিরবিহীন দৌড়ে ৫৬ হাজারের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল সেনসেক্স। মঙ্গলবার সূচকটি প্রথম বার ছুঁয়ে ফেলেছে ৫৫,৮৫৪.৮৮ অঙ্কের শিখর। তবে সেখানে থিতু হতে পারেনি। দিনের শেষে কিছুটা নেমে এসে থামে ৫৫,৭৯২.২৭-এ। এটাও অবশ্য উচ্চতার নতুন রেকর্ড। উত্থানের পরিমাণ আগের দিনের থেকে ২০৯.৬৯ পয়েন্ট বেশি।
নিফ্টির-ও নজর এ বার ১৭ হাজারের ঘরের দিকে। ৫১.৫৫ পয়েন্ট এগিয়ে এ দিন তারও সফর শেষ হয়েছে নতুন নজির গড়ে, ১৬,৬১৪.৬০ অঙ্কে।
অতিমারির সঙ্কটের মধ্যে সূচকের একের পর এক মাইলফলক পেরিয়ে যাওয়া বার বার চমকে দিয়েছে লগ্নিকারীদের। এ হেন রকেট গতির উত্থানে শেয়ার সম্পদ বিপুল বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁরা অবশ্য খুশিই। তবে দ্রুত উঠতে থাকা বাজারে সাবধানে আর ভেবেচিন্তে বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। বিশেষ করে এ দিন তার অস্থির ওঠানামা দেখার পরে।
আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় বিভিন্ন দেশের শেয়ার সূচক দুর্বল ছিল মঙ্গলবার। বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাই ভারতের বাজার নতুন রেকর্ড গড়লেও কিছুটা অস্থির ছিল। ওঠানামা
হয়েছে বিস্তর।
জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর গবেষণা বিভাগের প্রধান বিনোদ নায়ারের দাবি, ‘‘দুর্বল বিশ্ব বাজারের মধ্যে দাঁড়িয়ে এক অস্থির লেনদেনের দিনে দেশের বাজার লাভ আর লোকসানের মধ্যে পেন্ডুলামের মতো দুলেছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় বাড়তে থাকা কোভিড সংক্রমণের হার এবং চিনা ইন্টারনেট ক্ষেত্রের জন্য সে দেশের সরকারের কড়া বিধিনিষেধ বিশ্ব জুড়ে লগ্নিকারীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।’’ তবে তথ্যপ্রযুক্তি, ভোগ্যপণ্য এবং ওষুধ ক্ষেত্রের জন্য এ যাত্রা সেনসেক্স, নিফ্টি রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। এশিয়ার বহু দেশের সূচকই এ দিন বিপুল পড়ে গিয়েছে। পতন দেখেছে ইউরোপের বেশির ভাগ সূচকও।
সূচকের উত্থানের সূত্রে বিএসই-তে এ দিন প্রথম বার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টাটা কনসালট্যান্সি সার্ভিসেসের (টিসিএস) মোট শেয়ার মূল্য ১৩ লক্ষ কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়ে যায়। রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের পরে তারাই দ্বিতীয় সংস্থা হিসেবের এই জায়গায় পৌঁছতে পারল। সংস্থার শেয়ার দর ২.৩২% বেড়ে হয়েছে
৩৫৫৩.৪০ টাকা।
ভারতের বাজার উঠলেও, ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম কমেছে এ দিন। এক ডলার ১১ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৪.৩৫ টাকা। আরও একটু নেমেছে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দর। ব্যারেল পিছু তার দাম ৬৯.৩৪ ডলার।