প্রতীকী ছবি।
গত সপ্তাহের প্রথমে সুখবর দিয়েছিল আমেরিকার ফাইজ়ার। জানিয়েছিল, তাদের করোনা ভ্যাকসিন ৯০% কার্যকরী। সেই খবরে নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছয় সেনসেক্স। তার পরেই রাশিয়া জানায়, তাদের ‘স্পুটনিক ভি’ ৯২% সফল। সূচক বহাল রাখে রেকর্ড গড়ার দৌড়। এ বার আমেরিকারই মর্ডানার দাবি, তাদের প্রতিষেধক যে ৯৪.৫% কার্যকরী, সেটা প্রমাণিত। বাঁধ ভাঙা উল্লাসে সেনসেক্স মঙ্গলবার এই প্রথম ছুঁল ৪৪ হাজারের মাইলফলক। তবে ৪৪,১৬১.১৬ অঙ্কে পৌঁছলেও, সেখানে থিতু হল না সেনসেক্স। শেষ পর্যন্ত ৩১৪.৭৩ পয়েন্ট উঠে থামল ৪৩,৯৫২.৭১ অঙ্কে। যা নতুন নজির। ফের রেকর্ড গড়ল নিফ্টিও। ৯৩.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে হল ১২,৮৭৪.২০।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, টিকা মানেই করোনার কবলমুক্ত হয়ে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা। বহু মানুষের জীবন ও জীবিকা বেঁচে যাওয়া। ফলে খুশির প্রতিফলন সারা বিশ্বের শেয়ার সূচকে। ভারতও তার শরিক।
তবে বাজার নিয়ে চূড়ান্ত ধন্দে রয়েছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। মূলধনী বাজার নিয়ে গবেষণা সংস্থা ভ্যালু রিসার্চের এমডি ধীরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘ধন্দ এই কারণেই যে, দেশের অর্থনীতিতে উন্নতি চোখে পড়ছে না। অথচ সূচক দৌড়চ্ছে রকেট গতিতে।’’
বিএনকে ক্যাপিটাল মার্কেটসের এমডি অজিত খন্ডেলওয়াল বলেন, ‘‘মুনাফা ঘরে তুলতে শেয়ার বিক্রির জেরে সূচক পড়তেই পারে। তা হাজার-দেড় হাজার পয়েন্ট হলেও অবাক হব না।’’ তবে সংশোধন হলেও বাজারের মুখ উপরের দিকেই থাকবে বলে মনে করছেন অজিতের মতো বিশেষজ্ঞেরা। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির লগ্নিই সূচককে নামতে দেবে না বলে ধারণা তাঁদের। যারা আজই ৪৯০৫.৩৫ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।