প্রতীকী ছবি
টানা চার দিনের ‘রক্তপাত’ বন্ধ হল আচমকা। শুক্রবার সেনসেক্স বাড়ল ১৬২৭.৭৩ পয়েন্ট। দাঁড়াল ২৯,৯১৫.৯৬ অঙ্কে। উঠল নিফ্টিও। লগ্নিকারীরা ফিরে পেলেন ৬.৩২ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। গত চার দিনের পতনে ১৯.৪৯ লক্ষ কোটি হারিয়েছিলেন যাঁরা। তবে ডলারের নিরিখে টাকার দাম আরও নেমে নতুন তলানি ছুঁয়েছে। ৮ পয়সা বেড়ে এক ডলার এ দিন হয়েছে ৭৫.২০ টাকা।
সূচক উঠলেও, উত্থান বহাল থাকা নিয়ে সংশয়ে বিশেষজ্ঞেরা। দেকো সিকিউরিটিজের কর্ণধার অজিত দে-র দাবি, ‘‘বাজার নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। চিনে করোনার প্রকোপ কমার খবর ভাল। বিশ্বের অন্যান্য বাজার চাঙ্গা ছিল, তা-ও আশার। তাই ভারত উত্থান দেখেছে। তবে করোনার দাপট চলছে। বিধ্বস্ত হচ্ছে অর্থনীতিও।’’ এ দিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় শেয়ার বাজার বন্ধ রাখার আর্জি জানান। তাঁর দাবি, বাজারে ‘রক্তক্ষরণ’ চলছে। তাই এটা জরুরি।
তবে বাজার মহল বলছে, আমেরিকা-সহ কিছু দেশ করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ ঘোষণা করেছে। লগ্নিকারীদের আশা, বিশ্ব অর্থনীতিকে ধসে পড়ার হাত থেকে বাঁচাবে এগুলি।
ভারতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গড়া হয়েছে। যার কাজ হবে করোনার জেরে দেশে অর্থনীতি যাতে বড় সমস্যায় না-পড়ে, তার ব্যবস্থা করা। অনেকের মতে, ত্রাণের প্রস্তাব দিতে পারে ওই কমিটি। তাই সূচক বেড়েছে। বহু ভাল শেয়ার নাগালে আসাতেও লগ্নি বেড়েছে।
নগদ জোগাতে: খোলা বাজার থেকে এই মাসেই ৩০ হাজার কোটি টাকার সরকারি বন্ড কিনবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ১৫,০০০ কোটি করে দু’দফায়। প্রথম দফায় ২৪ মার্চ ও দ্বিতীয় দফায় ৩০ মার্চ। শীর্ষ ব্যাঙ্কের ওই পদক্ষেপ বাজারে নগদের জোগান বাড়াতে সাহায্য করবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।