ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের মতে, বহু ভাল শেয়ারের দাম বেশ কিছুটা কমেছে। সেই সুযোগ নিচ্ছেন লগ্নিকারীরা। প্রতীকী ছবি।
চার দিনের পতন শেষে লাফ শেয়ার বাজারের। একলপ্তে ৭১২.১৩ পয়েন্ট উঠে সেনসেক্স পৌঁছল ৬০,৫৬৬.৪২ অঙ্কে। নিফ্টি ২০৭.৮০ এগিয়ে হল ১৮,০১৪.৬০। টাকার দামও বেড়েছে এ দিন। ১৭ পয়সা পড়ে এক ডলার হয়েছে ৮২.৬৫ টাকা। সেনসেক্স অবশ্য মাঝে এক সময় ৯৮৮.৪৯ বেড়েছিল। শেষে খানিকটা নামে। কোভিড আতঙ্কে চার দিনে সূচকটি খুইয়েছিল মোট ১৯৬০ পয়েন্ট। নিফ্টি নামে ৬১৩ পয়েন্ট। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ দিন উত্থানের পিছনে কাজ করেছে পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার হিড়িক। তবে বিশ্ব বাজারে মন্দা এবং সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা রয়েই গিয়েছে। ফলে অস্থিরতা সহজে কাটার নয়।
বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, ‘‘এই উত্থানকে বাজারের ঘুরে দাঁড়ানো বলা ঠিক নয়। তেমন কোনও কারণও নেই। সূচক অনেকটা নীচে নামায় বহু লগ্নিকারী শেয়ার কিনতে নেমেছিলেন। তার ছাপ পড়েছে। সার্বিক ভাবে পরিস্থিতি বরং গত ক’দিনের মতো একই রকম ও সেটা যথেষ্ট উদ্বেগের।’’ তাঁর ধারণা, কোভিড নিয়ে আশঙ্কায় বাজারে অস্থিরতা বজায় থাকবে। এমনকি সূচক আরও নীচে নামতে পারে।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের মতে, বহু ভাল শেয়ারের দাম বেশ কিছুটা কমেছে। সেই সুযোগ নিচ্ছেন লগ্নিকারীরা। তাঁর কথায়, ‘‘উঁচু বাজারটানা পড়ার পরে উত্থান অস্বাভাবিক নয়। তবে সব কিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপরে। বাজারের অবস্থা খারাপ ছিল না। যে মুহূর্তে চিন-সহ বিভিন্ন দেশে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে থাকার খবর ছড়িয়েছে, তৎক্ষণাৎ চাপে পড়েছেন লগ্নিকারীরা। তাতেই এই পতন। ভবিষ্যতে কোভিড বাজারের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে।’’