শেয়ার বাজারে ছড়াচ্ছে চাপা আতঙ্ক। প্রতীকী ছবি
দেশের জিডিপি(মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) ৫ শতাংশে নামার পরেই এক ধাক্কায় সেনসেক্স পড়ল ৭৭০ পয়েন্ট। মঙ্গলবার দিনের শেষে ৩৬৫৬২.৯১ তে এসে দাঁড়ায় সেনসেক্স। শুধু সেনসেক্সই নয়, নিফটির অঙ্কও ১০৮০০ এর নীচে নেমে গিয়েছে। মঙ্গলবারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিফটি এসে দাঁড়িয়েছে ১০৭৯৭.৯ পয়েন্টে।
কয়েক দিন আগেই দশটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে চারটি করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। নির্মলা সীতারামনের দাবি ছিল, এতে ঋণের জোগান বাড়বে। যা অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছতে সাহায্য করবে। একই সময়ে সরকারি রিপোর্টেই উঠে এসছে আরও একটি তথ্য। জিডিপি বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৫ শতাংশে। অর্থমন্ত্রী যতই দীর্ঘমেয়াদি দাওয়াই ঘোষণা করুন, দেশের এই অর্থনৈতিক সঙ্কট প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলেছে বাজারে। বেহাল দশা শেয়ার বাজারেও। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, টাটা মোটরস, টাটা স্টিল, ইন্ডাসল্যান্ড ব্যাঙ্কের স্টক এ দিন শেষ করেছে ৪.৪৫ শতাংশে, যা বিশ্লেষকদের মতে খুবই উদ্বেগজনক। এনএসই-এর ক্ষেত্রে ৫০ এর মধ্যে ৪৮টি ইউনিটই বিপদমাত্রা (সূচকে ৫০ পয়েন্ট) পার করে গিয়েছে। শুধু ৫০ এর ওপরে রয়েছে টেক মহিন্দ্রা ও এইচসিএল।
আরও পড়ুন:সংযুক্তির পরেও ভুগবেন না গ্রাহক, পরিষেবা আগের মতোই, দাবি ব্যাঙ্কের
আরও পড়ুন:ফের সেজে উঠল অ্যান্টিলিয়া, অম্বানীর বাড়িতে এলাহি আয়োজন
জিওজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের গবেষক বিনোদ নায়ার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘নয়া বিদেশি বিনিয়োগ নীতি, গাড়ি শিল্পের ভয়াবহ পতনের কারণেই বাজারে এই অস্থিরতা।’’ শিল্প মহলের একাংশ বলছে, আরও তলানিতে যাবে সেনসেক্স সূচক। রোজকার ব্যবহারের জিনিসের বিক্রি যে ভাবে কমছে, তাতে এমন আশঙ্কা ছিলই।