—প্রতীকী ছবি।
মাসের শুরুতে পর পর দু’দিনে এক হাজার পয়েন্টেরও বেশি উঠল সেনসেক্স। বছরের শেষ মাসের প্রথম লেনদেনের দিনে ৪৪৫ পয়েন্ট বেড়েছিল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক। একই গতি বজায় রেখে মঙ্গলবার প্রায় ৬০০ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স, পৌঁছে গেল ৮১ হাজারের দোরগোড়ায়। ১৮১ পয়েন্ট বেড়ে ২৪৪৫৭ পয়েন্টে থামল নিফটি।
শুক্রবার ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস (এনএসও) প্রকাশিত তথ্য জানিয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ৫.৪ শতাংশ। গত আড়াই বছরের মধ্যে এই হার সর্বনিম্ন। গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) একই ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.১ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৭ শতাংশ। খারাপ জিডিপির সঙ্গে যোগ হয় আদানিকাণ্ড এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নাগাড়ে ভারতীয় বাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়া। এই ত্র্যহস্পর্শে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই আবার পড়বে বাজার। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে পর পর দু’দিন বাজারে বজায় থাকল ষাঁড়ের গতি। আর্থিক বিশ্লেষকদের মতে, বাজার আগেই ‘কারেকশন’ নিয়ে রাখায় জিডিপির খারাপ ফলের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। বাজার এখন তাকিয়ে রয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর মুদ্রানীতির দিকে।
সোমবার বাজার উঠেছিল ফার্মা, স্বাস্থ্য এবং প্রতিরক্ষার শেয়ারের ভাল ফলের হাত ধরে। মঙ্গলবার ভাল ফল করল ব্যাঙ্কিং, আর্থিক পরিষেবা, ধাতু এবং তেল ও গ্যাসের স্টকগুলি। এ দিন ব্যাঙ্ক নিফটি সূচক প্রায় এক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিফটি ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, নিফটি মেটাল এবং নিফটি তেল ও গ্যাসের সূচকগুলিও প্রায় এক শতাংশ বেড়েছে৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)