—প্রতীকী ছবি।
ভূত চতুর্দশীতে নেমেছিল শেয়ারের সূচক। কালীপুজোর দিনেও অব্যাহত রইল সেই ধারা। ফলে ফের লোকসানের মুখ দেখলেন লগ্নিকারীরা। চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ দিনে যথাক্রমে সাড়ে ৫০০ ও ১৩০ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স ও নিফটি। সর্বাধিক খারাপ ফল করেছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির স্টক।
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় শেয়ার সূচক দাঁড়িয়ে রয়েছে ৭৯,৩৮৯.০৬ পয়েন্টে। অর্থাৎ সেনসেক্স নেমেছে ০.৬৯ শতাংশ। এতে ৫৫৩.১২ পয়েন্টের পতন লক্ষ করা গিয়েছে। এ দিন ৮০,০৪৪.৯৫ পয়েন্টে খোলে বিএসই সেনসেক্স। আর এটাই ছিল দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শেয়ার সূচক।
অন্য দিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) সূচক বন্ধ হয়েছে ২৪,২০৫.৩৫ পয়েন্টে। নিফটিতে পতনের পরিমাণ ১৩৫.৫০। শতাংশের নিরিখে যা ০.৫৬। এ দিন বাজার খোলার সময়ে নিফটি দাঁড়িয়েছিল ২৪,৩৪৯.৮৫ পয়েন্টে। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,৩৭২.৪৫ পয়েন্টে উঠেছিল এই সূচক।
এনএসইতে মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির শেয়ারের দর পড়েছে ০.৪১ শতাংশ। আর ১.১৬ শতাংশ বেড়েছে ছোট পুঁজির সংস্থার স্টকের দাম। ক্যাটেগরি ভিত্তিক এ দিন ফার্মা কোম্পানিগুলির শেয়ার সর্বাধিক লাভ করেছে। এগুলির স্টকের দর বেড়েছে ১.৭৩ শতাংশ। ফার্মা সংস্থাগুলির মধ্যে আবার ‘সিপলা’-র শেয়ার প্রায় ন’শতাংশ দামি হয়েছে।
এ ছাড়া এল অ্যান্ড টি, ডক্টর্স রেড্ডিস্ ল্যাব, হিরোমোটোকর্প এবং ওএনজিসির শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ভাল লাভ করতে পেরেছেন। আর সবচেয়ে লোকসান হয়েছে টেক মাহিন্দ্রা, এইচসিএল টেকনোলজিস, উইপ্রো, টিসিএস ও শ্রীরাম ফিন্যান্স। তথ্যপ্রযুক্তি এবং ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলির স্টকের দর পড়েছে যথাক্রমে তিন ও এক শতাংশ।
বিএসইতে মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কমেছে ০.৫ শতাংশ। আবার এক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ছোট পুঁজির সংস্থার স্টক। গাড়ি নির্মাণকারী এবং সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কের শেয়ারের ০.৫ শতাংশ নেমে গিয়েছে।
এ বছরের অক্টোবর শেয়ারে লগ্নিকারীদের জন্য একেবারেই ভাল ছিল না। এ মাসে ৬.২২ শতাংশ নেমে গিয়েছে নিফটির সূচক। যা প্রায় ২৪ হাজার ২০৭ পয়েন্ট। ২০২০ সালের মার্চের পর এত বড় পতন আর কখনই দেখা যায়নি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)