—প্রতীকী ছবি।
চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকেই শেয়ার সূচক ছিল নিম্নমুখী। শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর সেই ধারা বজায় থাকল। ফলে ফের একবার সেনসেক্স ও নিফটিতে দেখা গিয়েছে পতন। এই পরিস্থিতিতে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বাজার আদৌ ঊর্ধ্বমুখী হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান আর্থিক বিশ্লেষকরাও।
এ দিন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় ৮০ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছে সেনসেক্স। চলতি মাসে প্রথমবার যা ঘটতে দেখল বিএসই। এ দিন ৭৯,৪০২.২৯ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে এই বাজারের শেয়ার সূচক। যাতে ৬৬২.৮৭ পয়েন্টের পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। শতাংশের নিরিখে যা ০.৮৩।
বিএসই অবশ্য এ দিন ৮০,১৮৭.৩৪ পয়েন্টে খুলেছিল। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০,২৫৩.১৯ পয়েন্ট উঠেছিল এই শেয়ার সূচক। তবে বাজার খোলার পর থেকে অধিকাংশ সময়েই স্টকের লেখচিত্রে পতন দেখা গিয়েছে।
দিনভর একই ছবি ছিল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জেও (এনএসই)। বাজার বন্ধ হওয়ার পর যার শেয়ার সূচক নিফটি ২৪,১৮০.৮০ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে পতনের পরিমাণ ২১৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ সূচক কমেছে ০.৯০ শতাংশ। দিনের শুরুতে ২৪,৪১৮.০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল নিফটি। আর সর্বোচ্চ ২৪,৪৪০ পয়েন্টে উঠেছিল এর লেখচিত্র।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, চলতি সপ্তাহে সেনসেক্স এবং নিফটি দুই থেকে তিন শতাংশ কমেছে। এ দিন ব্যাপক নেমেছে ব্যাঙ্ক নিফটিও। বাজার খোলার সময়েই ১৬২ পয়েন্ট কমে ৫১,৩৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল এই সূচক।
২০২০ সালের মার্চের পর মাসের নিরিখে এ দিনই সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে শেয়ার বাজার। এ বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছিল স্টকের লেখচিত্র। সেখান থেকে শুক্রবার সেনসেক্স ও নিফটি প্রায় ৮ শতাংশ নেমেছে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন নিফটিতে সর্বাধিক লোকসান হয়েছে ইন্ডাসইণ্ড ব্যাঙ্ক (১৮.৩ শতাংশ), বিপিসিএল (৪.৭ শতাংশ), শ্রীরাম ফিন (৫.৬ শতাংশ) ও আদানি এন্টারটেনমেন্টের (৫.৩ শতাংশ) শেয়ারে লগ্নিকারীদের। আর মুনাফা দেওয়া স্টকগুলি হল, আইটিসি (২ শতাংশ), অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক (১.৫ শতাংশ), ব্রিটানিয়া (০.৭ শতাংশ) এবং ডেভিস ল্যাব (০.৭ শতাংশ)। বিএসইর বিনিয়োগকারীরা সব মিলিয়ে হারিয়েছেন ৬ লক্ষ কোটি টাকা।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)