—প্রতীকী ছবি।
‘ন যযৌ ন তস্থৌ’ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে শেয়ার বাজার। অতি সামান্য বেড়েছে সেনসেক্স। অন্য দিকে নিফটির সূচকে দেখা গিয়েছে অল্প পতন। ফলে লগ্নিকারীদের লাভ বা লোকসান যে বিরাট হয়েছে, এমনটা নয়। সোমবার, ৯ ডিসেম্বর রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) নতুন গভর্নর হিসাবে সঞ্জয় মালহোত্রর নাম ঘোষণা করে কেন্দ্র। ঠিক তার পর দিনই ডলারের নিরিখে টাকার দাম পড়লেও শেয়ার বাজারে তেমন প্রভাব পড়ল না। সেখান দিনভর বজায় ছিল অস্থিরতা।
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় ৮১,৫১০.০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেনসেক্স। এই সূচক উঠেছে মাত্র ১.৫৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ বিএসই বৃদ্ধি পেয়েছে ০.০০১৯ শতাংশ। সকালে ৮১,৫৭৫.৯৬ পয়েন্টে খোলে সেনসেক্স। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮১,৭২৬.৩৪ পয়েন্টে উঠেছিল এই স্টকের সূচক। এই নিয়ে টানা তিন দিন ৮১ হাজারের উপরেই রিল সেনসেক্সের লেখচিত্র।
অন্য দিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) সূচক নিফটি ৫০ নেমেছে মাত্র ৮.৯৫ পয়েন্ট। দিনের শেষে এই বাজার বন্ধ হয়েছে ২৪,৬১০.০৫ পয়েন্টে। এতে ০.০৩৬ শতাংশের পতন দেখা গিয়েছে। সকালে ২৪,৬৫২.৬৫ পয়েন্টে খুলেছিলে এনএসই। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,৬৭৭.৮০ পয়েন্ট ওঠে নিফটি।
বাজার অস্থির হলেও এ দিন বিএসইতে ভাল ফল করেছে ছোট ও মাঝারি পুঁজির সমস্ত সংস্থা। এই দুই ক্ষেত্রে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ০.৩৩ এবং ০.৩০ শতাংশ। নিফটিতে আবার রিয়্যাল এস্টেট ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় এক শতাংশ।
স্টকে লগ্নিকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন ইনফোসিস, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং এসবিআইয়ের বিনিয়োগকারীরা। আর মঙ্গলবার লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়, ভারতী এয়ারটেল এবং লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর স্টকে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)