মঙ্গলবার আরও ৩৩৭.৬৬ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স ফের ৫৭ হাজারের ঘরে নেমেছে। প্রতীকী ছবি।
আমেরিকায় পর পর দু’টি ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হওয়ার ধাক্কা ছিলই। তার উপর দেশে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি এখনও ৬ শতাংশের উপরে। ফলে আরও সুদ বাড়ার আশঙ্কা। যা লগ্নিকারীদের আস্থা কেড়েছে। মঙ্গলবার আরও ৩৩৭.৬৬ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স ফের ৫৭ হাজারের ঘরে নেমেছে। থেমেছে ৫৭,৯০০.১৯ অঙ্কে। এ নিয়ে টানা চার দিনে সূচক নামল মোট ২৪৪৭ পয়েন্ট। নিফ্টি ৭১১ পড়ে ১৭,০৪৩-তে। আজ টাকার দামও পড়েছে। ডলার ১৪ পয়সা উঠে হয়েছে ৮২.৩৭ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চার দিন সূচককে টেনে নামিয়েছে মূলত বিদেশি লগ্নিকারীদের শেয়ার বিক্রি ও আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্কের আরও সুদ বৃদ্ধির আশঙ্কা। পরে যোগ হয়েছে আমেরিকার ব্যাঙ্কের পতন আর দেশে সুদ চড়ার সম্ভাবনা। জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের গবেষণা বিভাগের প্রধান বিনোদ নায়ারের মতো বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এমনিতে বন্ধ হওয়া ব্যাঙ্কগুলি থেকে আমেরিকা দ্রুত গ্রাহকদের আমানত তোলার সুযোগ দেওয়ায় ও কারও অর্থ মার যাবে না বলায় আশ্বস্ত হয়েছেন লগ্নিকারীরা। এই ঘটনার প্রভাব এশিয়ার ব্যাঙ্কগুলিতে পড়বে না, মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ়ের এই বার্তাও স্বস্তি দিয়েছে। কিন্তু চড়া সুদের কারণে ব্যাঙ্কিং শিল্প নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষত মূল্যবৃদ্ধিকে রুখতে আরও সুদ বাড়ার আশঙ্কা থাকায়। এইচডিএফসি সিকিয়োরিটিজ়ের কর্তা দীপক জাসানির মতে, আমেরিকার মূল্যবৃদ্ধিতে চোখ রেখে পুঁজি ঢালার সিদ্ধান্ত নেবেন লগ্নিকারী।