—প্রতীকী চিত্র।
একলপ্তে ৭৩৬.৩৭ পয়েন্ট পড়ে গেল শেয়ার সূচক সেনসেক্স। নামল ৭২,০১২.০৫ অঙ্কে। ৪.৮৬ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ হারালেন লগ্নিকারীরা। নিফ্টি-ও ২৩৮.২৫ পড়ে হয়েছে ২১,৮১৭.৪৫। এ দিন ডলার ফের ৮৩ টাকা হয়েছে। ১২ পয়সা উঠে এক ডলার ছুঁয়েছে ৮৩.০২ টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা, ফের চড়তে থাকা অশোধিত তেলের দর, দেশে মোট শেয়ারমূল্যের নিরিখে ছোট (স্মল ক্যাপ) এবং মাঝারি সংস্থার (মিড ক্যাপ) শেয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তা, দেশি-বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগে রাশ ভারতের বাজারকে ধাক্কা দিয়েছে। তার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলির দুর্বলতা। যার মূল কারণ ১৭ বছরে এই প্রথম জাপানে সুদের হার বৃদ্ধি। জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর গবেষণা বিভাগের প্রধান বিনোদ নায়ারের মতে, লগ্নিকারীরা যখন ফের আগের মতো কম সুদের জমানায় ফেরার আশা করছেন, তখন জাপানে সুদ বৃদ্ধি অস্থিরতা বাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, আগে স্মল ও মিড ক্যাপের শেয়ারগুলির পড়ছিল। এখন পড়ছে লার্জ ক্যাপ, অর্থাৎ বড় সংস্থার শেয়ার। কারণ, আজ বুধবার আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তাই লগ্নিকারীরা সতর্ক। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধির হার উঁচুতে। অথচ অর্থনীতির অবস্থা কিছুটা ভাল। ফলে এখনই হয়তো সে দেশে সুদ কমবে না। তার উপরে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। ভারতের জন্য এটা খারাপ খবর।’’