ছবি এএফপি।
ডলারে গত ১১ বছরের মধ্যে সব থেকে নীচে নামল চিনা মুদ্রা ইউয়ানের দাম। সোমবার এক ডলার পেরোল ৭ ইউয়ান। বিশেষজ্ঞদের দাবি, রফতানি বাণিজ্যে সুবিধা নিতে মুদ্রার এতটা পতনে কার্যত সায় দিয়েছে বেজিং। যা আসলে তাদের পণ্যে আমেরিকার শুল্ক চাপানোর পাল্টা। আর এতেই চিন-মার্কিন বাণিজ্য সংঘাত আরও বাড়ার আশঙ্কায় পড়েছে সব দেশের প্রায় সমস্ত শেয়ার সূচক। ভারতেও সেনসেক্স ৪১৮.৩৮ পয়েন্ট নেমে হয় ৩৬,৬৯৯.৮৪ অঙ্ক। ডলারের সাপেক্ষে ছ’বছরের বৃহত্তম পতন দেখেছে টাকা।
ইউয়ানের পতনে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে চিনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, বাণিজ্যে সুবিধা নেওয়ার অস্ত্র হিসেবে মুদ্রাকে ব্যবহার করছে বেজিং। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে মার্কিন শুল্ক চাপা সত্ত্বেও উপকৃত হবেন চিনের রফতানিকারী। তবে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে এ দিন দিনভর কেঁপেছে সারা বিশ্বের শেয়ার বাজার। খোলার পরে মার্কিন সূচক ডাও জোন্স পড়ে ৯০০ পয়েন্টের বেশি।
ভারতে সূচক যে পড়বে, তা বোঝা গিয়েছিল সকাল ৮টাতেই। যখন সিঙ্গাপুরে ৭৫ পয়েন্ট পড়ে এসজিএক্স নিফ্টি (নিফ্টি এই নামে সেখানে নথিভুক্ত)। এ দিন এক সময় সেনসেক্স ৭০০ পয়েন্ট নেমেছিল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে দেশের অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তাও। তবে এ দিন কেন্দ্রের জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের উদ্যোগের প্রভাব বাজারে পড়েনি, বলছেন অনেকেই। দেকো সিকিউরিটিজের কর্ণধার অজিত দে বলেন, ‘‘পতন কোথায় দাঁড়ায় সেটাই দেখার।’’ ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস কে কৌশিকের দাবি, ‘‘বাজার আরও হাজার দুয়েক পড়লে অবাক হব না।’’