প্রতীকী ছবি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বলে খবর ছড়ানোয় শুক্রবার প্রথমে বিশ্ব জুড়েই পড়ছিল শেয়ার বাজার। যদিও পরে জানা যায়, যুদ্ধের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতেও আশঙ্কা কমেনি বাজারের। এ দিন ভারতে সেনসেক্স এক ধাক্কায় পড়ে যায় ৪০৭.১৪ পয়েন্ট। এর আগে টানা তিন দিন উঠেছিল সূচক। নিফ্টিরও পতন হয় ১০৭.৬৫ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ও নিফ্টি দাঁড়ায় যথাক্রমে ৩৯,১৯৪.৪৯ ও ১১,৭২৪.১০ অঙ্কে।
শুক্রবার পড়েছে টাকার দামও। দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম ১৪ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯.৫৮ টাকা। এক দিকে সূচকের পতন ও বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রি, অন্য দিকে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি— এই দুইয়ের জাঁতাকলে পড়ে দেশে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। বাজার মহলের মতে, এর ফলেই বাড়ে তার দাম। এ দিন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে ৭৩০.৫৮ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে বলে খবর।
ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে, এই আতঙ্কে এ দিন বিশ্ব বাজারে আগাম লেনদেনে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলে ৬৫ ডলার ছাড়িয়েছে। এক সপ্তাহেই তা বেড়েছে প্রায় ৬%। তেলের এই ঊর্ধ্বগতি নিয়ে চিন্তার কথা জানিয়ে শুক্রবার সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
বিশেষজ্ঞদের অবশ্য মত, অশোধিত তেলের দাম ছাড়াও বাজারে একাধিক বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তিত লগ্নিকারীরা। এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে শুল্ক-যুদ্ধ। চিন-আমেরিকার পরে এ বার ভারত ও আমেরিকার মধ্যেও বাণিজ্য-যুদ্ধ শুরু হয়েছে। যা চিন্তায় রাখছে লগ্নিকারীদের।
এ দিকে, দেরিতে বর্ষা আসার বিষয়টিও চিন্তার রেখা ফেলেছে লগ্নিকারীদের কপালে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, জুন মাসে ইতিমধ্যেই ৪৩% বৃষ্টি কম হয়েছে। বর্ষা কম হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে অর্থনীতিতে। যার আঁচ থেকে বাজারের রেহাই পাওয়া সম্ভব নয় বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।