ফাইল চিত্র।
নাগাড়ে বাড়তে থাকা শেয়ার বাজার এবং ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে সোমবারই নিজেদের আর্থিক স্থিতিশীলতা রিপোর্টে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু তা সত্ত্বেও দমল না বাজার। মঙ্গলবার ফের নতুন নজির গড়ল দুই শেয়ার সূচক। তা-ও আবার মূলত ব্যাঙ্কিং শেয়ারের কাঁধে চেপেই। সেনসেক্স ও নিফ্টি বেড়েছে যথাক্রমে ২৪৭.৭৯ ও ৭৮.৭০ পয়েন্ট। থেমেছে ৪৯,৫১৭.১১ এবং ১৪,৫৬৩.৪৫ অঙ্কে। দু’টিই নতুন রেকর্ড। ডলারের সাপেক্ষে উঠেছে টাকার দরও। ১ ডলারের দাম ১৫ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩.২৫ টাকা।
রিপোর্টের মুখবন্ধে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছিলেন, ভারত-সহ সারা বিশ্বেই আর্থিক বাজারের গতিপ্রকৃতি এবং অর্থনীতির বাস্তব অবস্থার মধ্যে যোগাযোগ নেই। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাজার যে উচ্চতা ছুঁয়েছে, তা নড়বড়ে করে দিতে পারে দেশের আর্থিক ভিতকে।
অথচ আজ সকালে লেনদেন শুরু হতে দেখা গেল অব্যাহত রয়েছে সূচকের দৌড়। বাজার মহলের মতে, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির টানা শেয়ার কেনা ইন্ধন জুগিয়েছে উত্থানে। সঙ্গে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সংস্থাগুলির ভাল ফলের আশা, গাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যান এবং ব্যাঙ্কের শেয়ারের চাহিদাও এ জন্য দায়ী। যার জেরে আজ বিএসই-তে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির মোট শেয়ারমূল্য (মার্কেট ক্যাপ) পৌঁছেছে রেকর্ড ১৯৭.৪৬ লক্ষ কোটি টাকায়।
সূচকের এমন দৌড়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে বিভিন্ন মহল। অনেকে বলছেন, সেপ্টেম্বরে ব্যাঙ্কগুলির ঋণের সাপেক্ষে মোট অনুৎপাদক সম্পদ ১৩.৫% ছুঁতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যা ২২ বছরে সর্বাধিক। অথচ বাজারে সেই সতর্কবার্তার প্রভাব দেখা যায়নি।