ফাইল চিত্র।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অর্থনীতিকে ফের অনিশ্চয়তা আর ঝুঁকির মুখে ঠেলেছে, সম্প্রতি এই বার্তা দিয়েই স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, ছোট-মাঝারি ব্যবসা, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা এবং ব্যক্তিগত ঋণগ্রহীতাদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সুরে শুক্রবার তাঁর অর্থ মন্ত্রক প্রকাশিত এপ্রিলের রিপোর্ট তুলে ধরল, বর্তমানে বাড়তে থাকা সংক্রমণ নিয়ে অর্থনীতির তেমন একটা ভয় নেই। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ড যে ধাক্কা খাবে, সেটা অবশ্য মেনেছে তারা। এটাও মেনেছে যে, দ্বিতীয় ঢেউ অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর গতি কিছুটা শ্লথ করেছে। তবে একই সঙ্গে বলেছে, করোনার প্রথম কামড়ের তুলনায় দ্বিতীয়টিতে অর্থনীতির ক্ষতি অনেক কম হবে। বরং অতিমারির সঙ্গে ঘর করা শিখে এবং আন্তর্জাতিক দুনিয়া থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা অর্জন করেছে, অতিমারির আবহে তা রুপোলি রেখা। যা এ বারের সংক্রমণ যুঝতে কার্যকরী হবে। এর আগে নির্মলাও দ্বিতীয় ঢেউয়ের অভিঘাত তেমন হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছিলেন।
এমনকি অর্থ মন্ত্রকের রিপোর্টে দাবি, গত অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে আর্থিক কর্মকাণ্ড চাঙ্গা হতে শুরু করায় রাজকোষের হালেরও উন্নতি হয়েছে। কারণ, প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেড়েছে। বেড়েছে জিএসটি আদায়ও। যা অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোরই লক্ষণ। তবে এ দিনই মূল্যায়ন সংস্থা ফিচের ইঙ্গিত, চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে রাজকোষ ঘাটতির যে লক্ষ্য বেঁধেছে (জিডিপি-র ৬.৮%) কেন্দ্র, তা পূরণ হবে না। বরং ঘাটতি বাড়বে। একই হুঁশিয়ারি দিয়েছে এসঅ্যান্ডপি। যার কারণ, দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে রাজ্যে বিধিনিষেধের জেরে ব্যবসা-বাণিজ্য চোট খাওয়ায় সরকারের আয় কমে যাওয়া। অথচ অতিমারি সামলানোর তাগিদে তাদের খরচ বৃদ্ধি।
তবে রিপোর্টে পরিষ্কার, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শেয়ার বাজার ও ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম ধাক্কা খেয়েছে। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি এপ্রিলেই ১১৮ কোটি ডলারের (প্রায় ৮৭৯১ কোটি টাকা) লগ্নি তুলেছে। থমকে আছে শিল্পে ঋণের চাহিদাও।