প্রতীকী ছবি।
চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হার শুক্রবার প্রকাশ করতে পারে কেন্দ্র। তার আগে ফিচ গ্রুপের মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ জানাল, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরেও ওই হার কমতে পারে। এই নিয়ে টানা ছ’বার। ৫% থেকে কমে তা হতে পারে ৪.৭%। পুরো অর্থবর্ষের বৃদ্ধির পূর্বাভাস তারা বেঁধেছে ৫.৬ শতাংশে। অথচ এক মাস আগেও তারা বলেছিল, চলতি অর্থবর্ষে ওই হার হতে পারে ৬.১%।
দেশে বিক্রিবাটা কমছে অনেক দিন ধরে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নগদের অভাব সেই সমস্যা আরও বাড়িয়েছে। খুচরো ঋণ কমার বিরূপ প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন পণ্যের বাজারে। আর চাহিদার ঘাটতির ফলে সংস্থাগুলিও কমিয়েছে উৎপাদন এবং বিনিয়োগ। ফলে গত কয়েকটি ত্রৈমাসিক ধরে টানা কমে চলেছে অর্থনীতির গতি। এই অবস্থায় বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এই প্রেক্ষিতে মূল্যায়ন সংস্থাটির বক্তব্য, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বৃদ্ধির হার নামমাত্র বাড়তে পারে। হতে পারে ৬.২%।
সমীক্ষায় স্পষ্ট, অর্থনীতি কিছুটা মাথা তুলে রয়েছে সরকারি খরচের উপরে ভিত্তি করে। এই প্রবণতা চালু থাকলে অর্থবর্ষের শেষে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৬ শতাংশে ঠেকতে পারে। যা ৩.৩% লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। আবার খরচ কমিয়ে ঘাটতিতে বাঁধন দেওয়ার চেষ্টা করলে বৃদ্ধি নামতে পারে। ফলে কেন্দ্রের সামনে এখন উভয় সঙ্কট।
পূর্বাভাস
• জুলাই-সেপ্টেম্বরে বৃদ্ধি ৪.৭%। সাত বছরের
মধ্যে সর্বনিম্ন।
• পুরো অর্থবর্ষে তা ৫.৬%।
• এই নিয়ে টানা চার বার বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটল ইন্ডিয়া রেটিংস।
• ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক, মুডি’জ, গোল্ডম্যান স্যাক্সও।
সতর্কবার্তা
• বেসরকারি লগ্নি নেই। ভরসা সরকারি খরচ।
• সে ক্ষেত্রে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৬ শতাংশে ঠেকতে পারে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ৩.৩%।
• খরচ কমালে বৃদ্ধির হার আরও কমতে পারে।