ভুয়ো পরামর্শের হাত ধরে সাধারণ মানুষের ক্ষতি না হয়, এ বার নিশ্চিত করতে চাইছে সেবি। ফাইল ছবি।
সমাজমাধ্যমে যাঁরা আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত পরামর্শ দেন (ফিনান্সিয়াল ইনফ্লুয়েন্সার), তাঁদের সম্পর্কে কয়েক দিন আগেই সতর্ক করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সূত্রের খবর, বহু ক্ষেত্রে ওই সব ব্যক্তিকে প্রচারের কাজে লাগাচ্ছে বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড ও ব্রোকার সংস্থা। এই সুযোগে যাতে ভুয়ো পরামর্শের হাত ধরে সাধারণ মানুষের ক্ষতি না হয়, এ বার নিশ্চিত করতে চাইছে সেবি। যে কারণে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রকটি রাশ টানতে চাইছে তাঁদের দিয়ে করানো বিজ্ঞাপন বা বিপণনে। কোন কোন ধরনের পরামর্শকে ভুল বলে চিহ্নিত করা হবে, আগামী দিনে প্রস্তাবনাপত্র সামনে আনার পরে তা খতিয়ে দেখবে তারা। তবে সরাসরি এই আর্থিক ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণের অধিকার তাদের নেই বলেই মত সেবি-র।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, করোনার পর থেকে শেয়ারে আরও বেশি মানুষ টাকা ঢালছেন। এরই সুযোগে এক শ্রেণির ইনফ্লুয়েন্সার বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লগ্নি সংক্রান্ত অ্যাপ নিয়ে কথা বলছেন বা সরাসরি বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন। সেবি-র ধারণা, বহু ক্ষেত্রে এই ধরনের পরামর্শের ফলে ক্ষতি হতে পারে মানুষের। বিশেষত, চড়া ও নিশ্চিত রিটার্নের মতো প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাঁরা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন, তাঁদের নিয়ে আশঙ্কা থাকছে। কিছু ক্ষেত্রে ইচ্ছা করে ভুল পরামর্শ দেওয়ার কথাও সামনে আসছে। তাই ওই ব্যক্তিদের বিজ্ঞাপনে ব্যবহারে রাশ টানতে আগ্রহী তারা।