—প্রতীকী চিত্র।
শেয়ার কেনার পরে তা লগ্নিকারীর ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা পড়ার নিয়ম চালু হয়েছে আগেই। তবে সেই প্রথা বাধ্যতামূলক নয়। ব্রোকারের মাধ্যমেও ক্রেতার কাছে শেয়ার স্থানান্তর হয় এখন। বুধবার এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ক্রেতার অ্যাকাউন্টে শেয়ার জমা পড়ার নিয়ম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিল বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। অর্থাৎ অন্য কোনও পথ ঘুরে বা ব্রোকারের অ্যাকাউন্ট মারফত লগ্নিকারীকে তা দেওয়া চলবে না। কেউ শেয়ার কিনলে দাম মেটানোর পরে সেগুলি সরাসরি তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক।
সেবির লক্ষ্য, এ ভাবে দেশে শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ করে তোলা। সেই সঙ্গে সাধারণ লগ্নিকারীর ঝুঁকি কমিয়ে তাঁদের সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থাকে আরও আঁটোসাঁটো করা। প্রস্তাবিত ব্যবস্থা ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। স্টক এক্সচেঞ্জ, ক্লিয়ারিং কর্পোরেশন এবং ডিপোজ়িটরিগুলি বহু দিন ধরেই এর সওয়াল করছে।
ক্রেতার কেনা শেয়ার তাঁর অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানোর বিধি ২০০১-এ চালু করেছিল সেবি। কিন্তু অন্যান্য পদ্ধতিগুলি তুলে নেয়নি। তাতে ক্লিয়ারিং কর্পোরেশন প্রথমে বিক্রেতার কাছ থেকে শেয়ার পাঠায় সংশ্লিষ্ট ব্রোকারের পুল অ্যাকাউন্টে। তার পর ব্রোকার তা পাঠায় ক্রেতার ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে। ১৪ অক্টোবর থেকে চালু হতে চলা নিয়মে বিক্রীত শেয়ার ব্রোকারের মাধ্যমে ক্রেতার অ্যাকাউন্টে পাঠানোর ওই পদ্ধতিই তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে ক্রেতা শেয়ারের দাম না মেটালে নির্দিষ্ট সময়ের পরে সেই শেয়ার বিক্রি করে বিক্রেতাকে দাম মেটানোর দায়িত্ব ব্রোকারেরই থাকবে।