—প্রতীকী চিত্র।
শেয়ার বাজারের নিয়মকানুন সরল করার জন্য একাধিক প্রস্তাবে সম্মতি দিল বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। এর মধ্যে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির লেনদেনের নিয়ম শিথিল করা যেমন রয়েছে, তেমনই সরল করা হয়েছে বাজারে প্রথম শেয়ার (আইপিও) ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহের রাস্তা। সেবির বক্তব্য, ব্যবসার পরিবেশ মসৃণ করার উদ্দেশ্যেই তাদের এই পদক্ষেপ।
এখনকার নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার কেনাবেচার এক দিনের মধ্যে দাম মেটানো এবং শেয়ারের হস্তান্তর প্রক্রিয়া (সেটলমেন্ট) সম্পূর্ণ করতে হয়। এটিকে বলে টি+১ সেটলমেন্ট ব্যবস্থা। অদূর ভবিষ্যতে লেনদেনের দিনেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে চায় সেবি (টি+০)। তবে এই প্রক্রিয়া পুরোপুরি চালু করার আগে ২৫টি সংস্থার শেয়ার নিয়ে এর একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রক। তাদের দাবি, শেয়ার লেনদেনের দিনে সেটলমেন্ট ব্যবস্থা সারা বিশ্বে ভারতেই প্রথম চালু হতে চলেছে।
এর পাশাপাশি সেবি জানিয়েছে, এখন থেকে অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডগুলিকে (এআইএফ) তাদের লগ্নিকারী এবং লগ্নির ক্ষেত্র নিয়ে বিশেষ ভাবে খোঁজখবর করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, এআইএফগুলি কিছুটা মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থার মতোই লগ্নি পরিচালনা করে। তবে মিউচুয়াল ফান্ডের পুঁজি শুধুমাত্র নথিভুক্ত সংস্থার শেয়ার, সরকারি ও বেসরকারি ঋণপত্রে ঢালা হয়। আর এআইএফ পুঁজি ঢালে অনথিভুক্ত সংস্থার শেয়ার, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড, প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মতো তুলনামূলক ভাবে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রেও। তারা বিভিন্ন লগ্নিকারীর থেকে তহবিল সংগ্রহ করে ওই সব ক্ষেত্রে লগ্নি করে। সেবির নির্দেশ, এখন থেকে লগ্নিকারী এবং লগ্নিস্থল সম্পর্কে বিশদে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এআইএফ পরিচালনাকারীদের।
আইপিও-র মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের রাস্তা সরল করার উদ্দেশ্যে সেবির সিদ্ধান্ত, এখন থেকে প্রথম শেয়ার ছাড়ার জন্য কোনও সিকিউরিটি ডিপোজ়িট জমা দিতে হবে না সংস্থাগুলিকে। সেই সঙ্গে ব্যবসার রাস্তা সহজ করার লক্ষ্যে কিছু বিষয়ে তথ্য প্রকাশের (ডিসক্লোজ়ার) বাধ্যবাধকতা থেকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। নথিভুক্ত সংস্থাগুলিকে বাজারে রটে যাওয়া জল্পনার সত্যতা যাচাই করতে হবে বলেও জানিয়েছে সেবি। এর জন্য নির্দিষ্ট বিধি অনুমোদন করেছে সেবির পরিচালন পর্ষদ।