‘ওয়ার্ড টুরিজম ডে’ অনুষ্ঠানের সূচনায় পর্যটন মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় শাখা-র ডেপুটি ডিরেক্টর সাগ্নিক চৌধুরী-সহ হোটেল শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্তা-ব্যক্তিরা। — নিজস্ব চিত্র।
অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশে আর্থিক মন্দার মতো পরিস্থিতি। তার মধ্যেই আশার আলো দেখাচ্ছে পর্যটন শিল্প। ‘ওয়ার্ড টুরিজম ডে’ উপলক্ষে শুক্রবার রাজারহাটে একটি অনুষ্ঠানে একঝাঁক তরুণ-তরুণীর হাতে বিভিন্ন ফুড চেইন সংস্থা এবং হোটেলে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল।
‘ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট, কলকাতা’-র সহযোগিতায় ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের (পূর্বাঞ্চলীয় শাখা) উদ্যোগে এ দিন দেশের নামী হোটল এবং ফুড চেইন সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই দেশের বিভিন্ন জায়গার ১ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীকে ওই সংস্থাগুলিতে চাকরিরর নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।
পর্যটন শিল্পের প্রসারে প্রতিটি দেশই নানা পদক্ষেপ করে থাকে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমন্বয়ও রয়েছে। সে জন্য একত্রিত হয়ে প্রতি বছরই নির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে পর্যটনের প্রসার চালানো হয়। এ বার ভারত আয়োজক দেশের দায়িত্ব পালন করেছে। উদ্দেশ্য ছিল, ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড জব: বেটার ফিউচার ফর অল’।
আরও পড়ুন: ভারত বিশ্বকে যুদ্ধ নয়, বুদ্ধ দিয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জে বললেন মোদী
এ দিন শিক্ষার্থী যুবক-যুবতীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে পেরে সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার ডেপুটি ডিরেক্টর সাগ্নিক চৌধুরী। এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “পর্যটন শিল্পের জন্য হোটেল ব্যবসার ক্রমশই প্রসার ঘটছে। তাতে কাজের সুযোগ আরও বাড়ছে। আজ অনেকেই নতুন পথে চলা শুরু করলেন।”
হোটেলে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে।
গোটা বিষয়টি রূপ দেওয়ার নেপথ্যে পর্যটন মন্ত্রকের কলকাতা শাখার বিশেষ ভূমিকা ছিল। ইন্ডিয়াটুরিজম কলকাতা-র অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর এসআর চৌধুরী বলেন, “অনেকেই কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। এর থেকে ভাল খবর আর কী হতে পারে। পর্যটনের প্রসারে গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটা তারই ফলশ্রুতি।”
আরও পড়ুন: ‘কানামাছি’ খেলে বেদম সিবিআই, রাজীব রইলেন অন্তরালেই
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইটিসি হোটেল, তাজ, জে এম ম্যারিয়ট, দ্য এইচএইচ আই, ওবেরয়, হায়াত রিজেন্সি, দ্য পার্ক, দ্য ললিত গ্রেট ইর্স্টান-এর মতো প্রথম সারির হোটেলের কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও সুইগি-র মতো ফুড চেইন সংস্থাও হাজির ছিল।