লকার ভাড়া লাগবে না। মিলবে সুদ। ফাইল চিত্র
সোনার গয়না থাকলেও পরা হয় না। নিরাপত্তার কথা ভেবে অনেকেই ভারী গয়না গায়ে তোলেন না। বছরের পর বছর তা পড়ে থাকে বাড়ির আলমারি কিংবা ব্যাঙ্কের লকারে। তা নিয়ে চিন্তাও থাকে। বাড়িতে রাখলে চুরি, ডাকাতির ভয় আবার ব্যাঙ্কের লকারে রাখলে বছর বছর তার ভাড়া গুনতে হয়। এ বার সেই খরচ, ভয়, ঝুঁকি কোনওটাই থাকবে না। এমনই এক প্রকল্প রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার।
এই প্রকল্প মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের। সোনা নগদীকরণের লক্ষ্যে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই প্রকল্প চালাচ্ছে কেন্দ্র। দেশের মানুষের কাছে গচ্ছিত থাকা সোনা যাতে কাজে লাগে সেই লক্ষ্যেই এই প্রকল্প। স্টেট ব্যাঙ্কের এই প্রকল্পের নাম ‘রিভ্যাম্পড গোল্ড ডিপোজিট স্কিম’। সংক্ষেপে ‘আর-জিডিএস’। এই প্রকল্পে তিন রকম ভাবে বিনিয়োগ করা যায়। আলাদা আলাদা হারে সুদ বাবদ আয় হতে থাকে সারা বছর।
১ থেকে ৩ বছরের জন্য স্বল্পকালীন, ৫ থেকে ৭ বছরের জন্য মধ্যমেয়াদি এবং ১২ থেকে ১৫ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। তবে কোনও ভাঙা বছরের জন্যও বিনিয়োগ করা যায়। যদিও তাতে সুদের হেরফের হয়। নিয়ম অনুযায়ী সবচেয়ে কম ১০ গ্রাম সোনা বিনিয়োগ করা যায়। সেটা সোনার বার কিংবা গয়না হতে পারে। তবে তাতে কোনওরকম পাথর বসানো থাকলে তার হিসাব ধরা হয় না। বিনিয়োগের কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই। যিনি বিনিয়োগ করবেন তিনি কাউকে উত্তরাধিকারী (নমিনি) করে রাখতে পারেন।
স্বল্পকালীন বিনিয়োগে এক বছরের জন্য সুদ বছরে ০.০৫ শতাংশ। দু’বছর পর্যন্ত ০.৫৫ শতাংশ আর তার বেশি হলে ০.৬০ শতাংশ হারে সুদ মেলে। মধ্যমেয়াদি বিনিয়োগে সুদের হার বছরে ২.২৫ আর দীর্ঘমেয়াদির ক্ষেত্রে ২.৫০ শতাংশ।
নিয়ম অনুযায়ী এই প্রকল্পে যে সময়ে অংশ নেওয়া হবে তখন সোনার দর অনুযায়ী বিনিয়োগের মোট পরিমাণ নির্ধারিত হবে। তার উপরেই মিলবে সুদ। প্রতি আর্থিক বছরের শেষে ৩১ মার্চ সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সুদ জমা পড়বে। গ্রাহক চাইলে প্রতি বছর সরল সুদ নিতে পারেন অথবা মেয়াদের শেষে সমষ্টিগত সুদ নিতে পারেন। কেমন ভাবে সুদ নেবেন সেটা বিনিয়োগের সময়েই জানাতে হবে।