প্রতীকী ছবি।
অতিমারির আক্রমণ এবং তা ঠেকাতে লকডাউনের ফলে দীর্ঘ আড়াই মাস কার্যত থমকে গিয়েছিল দেশের অর্থনীতি। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরেও আর্থিক কার্যকলাপের গা-ঝাড়া দিয়ে উঠতে সময় লাগছে। ফলে সরকারের আয়েও ভাল রকমের ধাক্কা লেগেছে। এই পরিস্থিতিতে স্টেট ব্যাঙ্কের আর্থিক গবেষণা শাখার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে সরকারের রাজকোষ ঘাটতি অনেকটাই ছাপিয়ে যাবে লক্ষ্যমাত্রাকে। অথচ, ধারের অঙ্ক বাড়াতে রাজি নয় কেন্দ্র। আর কেন্দ্র সত্যিই সেই পথে হাঁটলে ছাঁটাই করতে হবে উন্নয়নের খরচ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বছর কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্মলিত রাজকোষ ঘাটতি ঠেকতে পারে ১৩ শতাংশে। কন্ট্রোলার জেনারেল অ্যাকাউন্টসের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্র যে ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল, এপ্রিল থেকে অগস্টের মধ্যেই তা ছাপিয়ে ১০৯.৩ শতাংশে পৌঁছেছে। টাকার অঙ্কে যা ৮,৭০,৩৪৭ কোটি।
ঘাটতি পোষাতে গত বাজেটে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ধারের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল কেন্দ্র। এই অবস্থায় অর্থনীতিবিদ এবং বিভিন্ন পরামর্শদাতা সংস্থা বলছে, উন্নয়নের চাকায় গতি ফেরাতে প্রয়োজনে বাজার থেকে আরও বেশি ধার করুক কেন্দ্র। পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন খাতে বাড়াক খরচ। যদিও এখনও পর্যন্ত আভাস পাওয়া গিয়েছে, ধারের অঙ্ক বাড়াতে চায় না মোদী সরকার। রিপোর্টে বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্পে যে সব খরচ বরাদ্দ করা হয়েছিল, কোপ পড়তে পারে তাতে।