কান্নায় ভেঙে পড়েছেন জেটের এক কর্মী। নয়াদিল্লিতে। রয়টার্স
কেউ কাজ করছেন সংস্থা শুরুর প্রথম দিন থেকে। এখন নতুন চাকরি খুঁজবেন কী করে, তা-ই ভাবছেন। কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না, ২০ বছরেরও বেশি চাকরির পরে বৃহস্পতিবার থেকে কাজ নেই। কেউ আবার এখনও আশা করছেন, ঘুরে দাঁড়াবে সংস্থা। এঁদের কেউ বিমানবন্দরে মাল ওঠানো-নামানোর কাজে যুক্ত, কেউ আবার পাইলট। দু-তিন মাস ধরে বেতন না-পেলেও কাজে আসছিলেন যাঁরা। আজ তাঁদের সকলেরই পরিচয়— ঝাঁপ বন্ধ করা জেট এয়ারওয়েজের কর্মী। সংখ্যায় প্রায় ২০,০০০।
বুধবার সন্ধ্যায় বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, পুঁজির অভাবে আপাতত পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। তার পর থেকেই নানা জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মীরা। হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘জেট বাঁচান। আমাদের পরিবার বাঁচান।’ অভিযোগ উঠেছে, সরকার কিছুই করেনি। এই অবস্থায় কেন্দ্রের প্রতি জেটের কর্মী সংগঠনের আর্জি, অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন। পাশাপাশি, কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, তার তদন্ত হোক।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, জেটের নিজস্ব কর্মী ছাড়াও ট্রাভেল এজেন্ট থেকে শুরু করে বিমানবন্দরে কাজ করা ঠিকা কর্মীদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। তাঁদের বক্তব্য, দ্রুত মূলধন জোগালে ক্ষীণ হয়ে আসবে সংস্থা পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা।