মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে যখন ইরান থেকে তেল রফতানি কমছে, ঠিক সে সময়ই উৎপাদন কমানোর কথা জানাল সৌদি আরব। আর মঙ্গলবার তাদের এই ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ব বাজারে এক লাফে বেশ খানিকটা বেড়ে যায় অশোধিত তেলের দাম। এ দিন প্রতি ব্যারেল তেলের দর এক সময়ে ৭৩.৭৫ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। যদিও ভারতীয় সময় মধ্যরাতে ব্রেন্ট ক্রুড কিছুটা নেমে হয় ব্যারেল পিছু ৭২.৪১ ডলার।
তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক মাস কয়েক আগেই উৎপাদন বাড়াতে রাজি হয়েছিল। ভারতের মতো তেল আমদানিকারী দেশগুলি তাতে কিছুটা হাঁফ ছাড়ে। কারণ উৎপাদন বাড়লে কমবে তেলের দর। কম হবে তা কেনার খরচ। দেশেও পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। কিন্তু সম্প্রতি ইরান থেকে তেল না কেনার জন্য সমস্ত দেশকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি ফের জোগান ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। মঙ্গলবার তা আরও বাড়িয়ে সৌদি আরব জানাল, অশোধিত তেলের উৎপাদন কমিয়েছে তারাও। ফলে আবারও তৈরি হল বিশ্ব বাজারে তার দাম বাড়ার আশঙ্কা।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আগামী দিনে তেলের দর আরও কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ সৌদি জোগান বাড়িয়ে তেলের দর কমাতে রাজি নয়। তবে অর্থনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্য, বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি তেলের চাহিদাও কিছুটা কমতে পারে। তার উপর উৎপাদন বাড়াচ্ছে আমেরিকা। ফলে সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত দাম হয়তো আকাশছোঁয়া হবে না।