Pension

পুরনো পেনশনে ফিরলে ক্ষতি, দাবি সঞ্জীবের

সঞ্জীব জানান, যা পরিস্থিতি, তাতে এটা নিশ্চিত যে ২০২৩ সাল সকলের জন্যই সমস্যার হতে চলেছে। ফলে এই সময়ে পুরনো পেনশন প্রকল্পে ফিরে গেলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপরে চাপ তৈরি হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৫৯
Share:

নতুন ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (এনপিএস) ব্যবস্থায় পেনশন প্রকল্পের তহবিলে কর্মী মূল বেতনের ১০% দেন। রাজ্য দেয় ১৪%। প্রতীকী ছবি।

আগে থেকে আর্থিক সংস্থান না-করে পুরনো পেনশন প্রকল্পে ফিরে গেলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল। সম্প্রতি বিরোধী দলশাসিত কিছু রাজ্য পুরনো পেনশন প্রকল্পে ফিরে গিয়েছে। কয়েকটি রাজ্য তা আগামী দিনে চালুর পরিকল্পনা করেছে। এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ওই মন্তব্য তাঁর। উল্লেখ্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে সরকারই পুরো পেনশনের ব্যবস্থা করত। বদলে ২০০৪ সাল থেকে চালু হওয়া নতুন ব্যবস্থায় রাজ্য সরকার একাংশ টাকা দিলেও, কর্মীকে পেনশনের ব্যবস্থা নিজেকে করতে হয়।

Advertisement

সঞ্জীব বলেন, বিশ্ব জুড়েই আর্থিক সমস্যা বহাল। আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থাগুলি বিশ্বের বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাচ্ছে। যা পরিস্থিতি, তাতে এটা নিশ্চিত যে ২০২৩ সাল সকলের জন্যই সমস্যার হতে চলেছে। ফলে এই সময়ে পুরনো পেনশন প্রকল্পে ফিরে গেলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপরে চাপ তৈরি হবে। বিশেষত গত দু’দশকে অনেক বাধা কাটিয়ে ক্রমশ নতুন পেনশন প্রকল্প চালু হয়েছে। তাই হঠাৎ করে পুরনো ব্যবস্থায় ফেরার আগে ভাল করে ভেবে দেখা জরুরি।

পুরনো প্রকল্পে সরকারই বাজেট বরাদ্দ থেকে পেনশনের ব্যবস্থা করত। নতুন ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (এনপিএস) ব্যবস্থায় পেনশন প্রকল্পের তহবিলে কর্মী মূল বেতনের ১০% দেন। রাজ্য দেয় ১৪%। অবসর নেওয়ার পরে কর্মীকে নিজের পেনশন তহবিলের একাংশ দিয়ে অ্যানুইটি কিনে পেনশনের ব্যবস্থা করতে হয়।

Advertisement

এ দিকে আজ ভারত এবং চিনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেই প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জীববাবু বলেন, শুধু চিন নয়, বিষয়টিকে দেখতে হবে সার্বিক ভাবে। প্রয়োজনীয় জিনিস যাতে দেশেই তৈরি করা যায়, তার জন্য কেন্দ্র একাধিক পদক্ষেপ করেছে। ১৪টি শিল্পের জন্য চালু হয়েছে উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্পও (পিএলআই)। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষে ভারত-চিনের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫১৫০ কোটি ডলারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement