বৈদ্যুতিক গাড়ি। —ফাইল চিত্র।
সরকারি মহলের বার্তা এবং শিল্পের কোমর বেঁধে প্রচার বেশ কিছু দিন ধরে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছিল। নিরাপত্তা, গাড়িগুলির বেশি দাম কিংবা চার্জিং স্টেশনে ঘাটতির মতো বিষয়ে কিছু প্রশ্ন রয়ে গেলেও, চাহিদায় উন্নতির রেখা ছিল স্পষ্ট। এ বার আচমকাই ছবিটা উল্টে গিয়েছে। গাড়ি বিক্রেতাদের সর্বভারতীয় সংগঠন ফাডা সম্প্রতি যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গত মাসে বৈদ্যুতিক চার চাকার বিক্রি অক্টোবরের তুলনায় কমে গিয়েছে ১৮.৩০%। এমনকি চার চাকার থেকেও দ্রুত গতিতে যে বৈদ্যুতিক দু’চাকার বাজার ছড়াচ্ছিল, তা স্তব্ধ হয়েছে বিক্রি প্রায় ১৪.৫% কমে যাওয়ায়। একই হাল তিন চাকা এবং বাণিজ্যিক গাড়ির।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, আগের মাসে পেট্রল-ডিজ়েল চালিত চার চাকার গাড়িও ৩৩.৪% কম বিক্রি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে গোটা পরিস্থিতির জন্য সার্বিক ভাবে গাড়ি বাজারের ঢিমে হওয়াকে দায়ী করা যায়। তবে প্রথাগত জ্বালানির দু’চাকার চাহিদা বেড়েছিল। সেই দিক থেকে বৈদ্যুতিকে এতটা কোপ চিন্তার। ফাডার তথ্য বলছে, নভেম্বরে বৈদ্যুতিক দু’চাকা এবং চার চাকার গাড়ি বিকিয়েছে যথাক্রমে ১.১৯ লক্ষ এবং ৮৬৬৮। যা তার আগের মাসে ছিল যথাক্রমে ১.৩৯ লক্ষ এবং ১০,৬০৯।
ফাডার তরফে দাবি, এমনিতেই ভারতে গাড়ি বাজারের হাল তেমন আশাপ্রদ নয় এখন। সাম্প্রতিক কালে সাধারণ গাড়ি বিক্রির তথ্যে তা বোঝা গিয়েছে। সেই প্রবণতা বৈদ্যুতিকের ক্ষেত্রেও আলাদা নয়। তবে সাধারণত খারাপ সময়েও দু’চাকার বিক্রি বাড়ে। তেল চালিতগুলিতে যেটা স্পষ্ট। কারণ, অনেকে চার চাকা কিনতে না পেরে দু’চাকায় ঝোঁকেন। সংগঠনের মতে, বৈদ্যুতিকে সেই ঝোঁক নাথাকা আশঙ্কার।