সহারা কর্তা সুব্রত রায়।
সেবির নির্দেশ জারি হয়েছিল আগের মাসে। তার পর অপেক্ষা ছিল সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সহারার ৬১টি জমির নিলামের দিন ঘোষণার। বৃহস্পতিবার বিক্রির দায়িত্বে থাকা দুই সংস্থা এইচডিএফসি রিয়েলটি ও এসবিআই ক্যাপিটাল সর্ব-সাধারণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল ১০টি সম্পত্তি বৈদ্যুতিন নিলামে উঠছে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই। ন্যূনতম দর ঠিক হয়েছে প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা।
দুই সংস্থা অবশ্য আলাদা আলাদা দিনে নিলাম হাঁকবে। এইচডিএফসি রিয়েলটি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ৪ জুলাই সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে পাঁচটি জমি বৈদ্যুতিন নিলামে তুলবে তারা। ন্যূনতম দাম ৭২২ কোটি। আলাদা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসবিআই ক্যাপ জানিয়েছে ৭ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আরও পাঁচটির নিলাম হাঁকার কথা। তারা ন্যূনতম দর বেঁধেছে ৪৭০ কোটি টাকা। এই ১০টি জমি অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত। এগুলির আওতায় কৃষিজমির পাশাপাশি চাষ করা হয় না এমন জমিও আছে।
প্রসঙ্গত, বেআইনি ভাবে বাজার থেকে তোলা টাকা লগ্নিকারীদের ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে সেবির সঙ্গে মামলা চলছে সহারার। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ না-মানায় প্রায় বছর দুয়েক তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন সংস্থা-কর্তা সুব্রত রায়। বর্তমানে প্যারোলে মুক্ত। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে সহারার ৬১টি জমি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল। এগুলির দলিল সর্বোচ্চ আদালতে আগেই জমা দিয়েছে সংস্থা। তার পরেই সম্পত্তিগুলি বৈদ্যুতিন নিলামে (ই-অকশন) বিক্রির ব্যাপারে এইচডিএফসি রিয়েলটি ও এসবিআই ক্যাপকে সবুজ সঙ্কেত দেয় সেবি। জমি আছে পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, বিহার, অসম-সহ অন্যান্য রাজ্যেও।
এর ৩১টি বেচবে এইচডিএফসি রিয়েলটি। সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিপ্রেক্ষিতে যার ন্যূনতম বাজার দর প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা । বাকি ৩০টি এসবিআই ক্যাপিটাল। সেগুলির ক্ষেত্রে ওই দর ধরা হয়েছে প্রায় ৪,১০০ কোটি।