প্রতীকী ছবি
আরও তলিয়ে গেল টাকার দাম। মঙ্গলবার ডলার ৩৮ পয়সা বেড়ে উঠল ৭৯.৩৩ টাকায়। ভারতীয় মুদ্রা এত নীচে কখনও নামেনি। ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বিরোধীরা। ইউপিএ জমানায় টাকার দামের পতন নিয়ে নরেন্দ্র মোদী কী ভাবে সরকারকে বিদ্রুপ করতেন, সেই কথা মনে করিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি সরকার হাত গুটিয়ে বসে। পতন আটকাতে কিছুই করছে না। অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কংগ্রেসের মুখপাত্র গৌরব বল্লভের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী না থাকাকালীন টাকা পড়লে মোদী বলতেন সরকারের সদিচ্ছাও নামছে। এখন দেখা যাচ্ছে তাঁর সরকারের সদিচ্ছা সর্বকালীন তলানিতে এবং প্রতিদিন রেকর্ড নীচে নামছে। তাঁর দাবি, টাকাকে আরও দুর্বল করে ডলার ৮২-৮৩ টাকা হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞেরা। টাকার পতনের জেরে তেল আমদানির খরচ বাড়ছে ভারতের। কিন্তু সরকারের হেলদোল নেই। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অবশ্য বলেছেন, তারা বিষয়টিতে নজর রাখছেন।
মূলধনী বাজার বিশেষজ্ঞ দেকো সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর আশিস নন্দী বলেন, “অশোধিত তেল আমদানিতে ডলারের খরচ যে ভাবে বাড়ছে, তা টাকাকে আরও নামাবে। ফলে রাজকোষ ঘাটতি এবং বাণিজ্য ঘাটতি চড়তে পারে। যা অর্থনীতির পক্ষে উদ্বেগজনক।’’ দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে এইচডিএফসি সিকিউরিটিজ়ের রিসার্চ অ্যানালিস্ট দিলীপ পারমার জানান, “বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি এ বছর শেয়ার বেচে ৩১০০ কোটি ডলার তুলে নিয়েছে ভারত থেকে। জুনে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১৩০ কোটি ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৬০ কোটিতে।’’
চিন্তায় রফতানিকারীরাও। সাধারণত টাকার দাম কমলে যাঁরা লাভবান হন। কারণ, পণ্য রফতানি করে পাওয়া ডলার ভাঙিয়ে হাতে বেশি টাকা আসে। কিন্তু নিফা এক্সপোর্টসের ডিরেক্টর রাকেশ শাহের দাবি, “টাকার পতন মাস খানেক চললে লাভ। কিন্তু তার বেশি হলে বরাতপ্রদানকারীদের দাবি মেনে রফতানিকারীদের পণ্যের দাম কমাতে হয়। তা ছাড়া রফতানির বরাত জোগাতে ৪-৫ মাস লাগে। টাকা স্থিতিশীল না হলে পণ্যের দাম নির্ধারণে সমস্যা হয়।’’