প্রতীকী ছবি।
পরের মাস থেকেই নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে এটিএম পরিষেবার জন্য গ্রাহকদের গুনতে হবে অতিরিক্ত খরচ। তবে এখন নিজস্ব এবং অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে প্রতি মাসে বিনাপয়সায় যতগুলি লেনদেন করা যায়, নতুন নিয়মেও তা বজায় থাকবে।
বর্তমানে মেট্রো শহরে প্রতিটি ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরা তাঁদের নিজের ব্যাঙ্কের এটিএমে মাসে ৫টি এবং অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে ৩টি করে লেনদেন (আর্থিক এবং অন্যান্য) বিনা খরচে করতে পারেন। তার বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে গুনতে হয় পরিষেবা খরচ। মেট্রো শহর ছাড়া অন্যান্য শহরে অবশ্য অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে বিনাপয়সায় ৫টি করে লেনদেন করা যায়।
কয়েক মাস আগে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, এটিএম বসানো এবং তা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষনের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নিখরচায় নির্দিষ্ট সংখ্যার অতিরিক্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি চাইলে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১ টাকা করে চার্জ বাড়াতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে প্রযোজ্য জিএসটি। বর্তমানে প্রতি বাড়তি লেনদেনে ২০ টাকা করে পরিষেবা খরচ দিতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় সেটাই বেড়ে হচ্ছে ২১ টাকা।
সেই অনুসারে সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহারের জন্য বাড়তি খরচ দিতে হবে। ইতিমধ্যেই গ্রাহকদের এসএমএস করে বিষয়টি জানানো শুরু হয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, তাঁদের গ্রাহকদের জন্য নিজস্ব এটিএমে বিনাপয়সায় আর্থিক ছাড়া অন্য লেনদেনের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা বাঁধা হয়নি। তবে অন্য ব্যাঙ্কের সেই সংখ্যা তিনটি। ফলে নতুন বর্ধিত পরিষেবা খরচ তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কয়েক মাস আগেই এটিএম পরিষেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের মধ্যে যে চার্জ মেটায়, বেড়েছে তার হার। ন’বছরে এই প্রথম। আর্থিক লেনদেনে তা ১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা, অন্য লেনদেনে ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা। কোনও এক ব্যাঙ্কের মঞ্জুর করা কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে লেনদেন করলে প্রথম ব্যাঙ্কটি দ্বিতীয়টিকে এই খরচ দেয়। ফলে ব্যাঙ্কগুলির নিজেদের খরচ বেড়েছে। তার কিছুটা গ্রাহকদের উপরে চাপানো হতে চলেছে।