ব্রিটেনের ইউরোপ ছাড়ার সিদ্ধান্তে (ব্রেক্সিট) ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কায় ওই দেশ থেকে পুঁজি সরানোর হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছে টাটা মোটরসের অধীনস্থ সংস্থা জাগুয়ার-ল্যান্ডরোভার। এ বার ফোঁস করল রোলস রয়েস এবং এয়ারবাসও।
ব্রেক্সিটের যাবতীয় প্রক্রিয়া মসৃণ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। কিন্তু তাতে যে শিল্পমহলের মন গলেনি, তা আরও স্পষ্ট হল ব্রিটেনের ফার্নবরো বিমান প্রদর্শনীতে। সেখানে বিমান এবং বিমানের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে, অবশিষ্ট ইউরোপে পণ্য রফতানি করতে গিয়ে যদি মোটা শুল্ক গুনতে হয়, তা হলে ‘সব রকম’ রাস্তাই খোলা রাখতে বাধ্য হবে তারা।
বিমানের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক রোলস রয়েসের চিফ এগ্জ়িকিউটিভ ওয়ারেন ইস্ট জানান, সরকার যে ব্রেক্সিট চুক্তির নীল নকশা তৈরি করেছে, তা শিল্পকে আশ্বস্ত করতে পারেনি। সরাসরি ব্যবসা সরানোর কথা না বললেও তাঁর বক্তব্য, ‘‘যে কোনও প্রস্তাবকে বিশ্বাস করা যায় না! শ্বেতপত্রে অনেক ভাল কথা রয়েছে। কিন্তু অনেক কিছু অস্পষ্ট। তাই সব রাস্তা খোলা রাখতে হবে।’
প্রায় একই কথা শুনিয়েছেন এয়ারবাসের সিওও টম উইলিয়ামস। ব্রেক্সিটের খবরে আশঙ্কার মেঘ রয়েছে ব্রিটেনে ব্যবসা করা আর্থিক পরিষেবা সংস্থাগুলির আকাশেও।