বাজারে ই-স্কুটারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ই-স্কুটার তথা অন্যান্য মোটরবাইককেকে টক্কর দিতে এ বার বাজারে আসছে নতুন এক ই-বাইক।
এই প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে ইলেকট্রিক মোটরবাইকের। আরভি ৪০০ বাইকটি খুব শীঘ্রই বাজারে আসছে। এই মোটরবাইকটির দাম এক লক্ষ টাকা (দিল্লির এক্স শোরুম দাম)। দু’চাকার বাজারে এই বাইক ভালই সাড়া ফেলবে বলে মনে করছে প্রস্তুতকারক সংস্থা রিভোল্ট।
আরভি ৪০০-এর সবথেকে বড় বিশেষত্ব হল, এই বাইকটি সম্পূর্ণ এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্মিত। ভারতে এই রকম বাইক প্রথম বলে দাবি প্রস্তুতকারক সংস্থার।
ফ্যাশনেবল তো বটেই, ই-বাইকটিতে রয়েছে নানা চমক। মূলত শহুরে জীবনযাত্রাকে মাথায় রেখেই এই বাইকটির নকশা করা হয়েছে। সংস্থার দাবি, একবার চার্জ দিলে বাইকটি পার করতে পারবে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার।
বাইকটিতে হরেক পরিবর্তন করা সম্ভব, এবং তা সম্ভব হবে আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমেই। সংস্থার দাবি, বাইকটিতে থাকা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে আপনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আপনার ফোনের মাধ্যমেই।
বাইকটির নানা মোড রয়েছে চালকের বাইক চালানোর ধরনের উপর ভিত্তি করে। ইলেকট্রিক বাইক বলে ‘নাক উঁচু’ ভাবনা ভেঙে দিতে এই বাইকটিতে রয়েছে ইঞ্জিনের সাউন্ড অন অফের বোতাম। ইঞ্জিন সাউন্ড ‘অন’ করা মাত্রই ইলেকট্রিক বাইকও গর্জে উঠবে পেট্রলচালিত মোটরবাইকের মতো।
বাইকটিতে রয়েছে অ্যান্টি-থেফট্, জিওফেন্সিং-সহ নানা চোখ ধাঁধানো প্রযুক্তি।
চাইলে বাইকটির ব্যাটারি সোয়াইপও করা যাবে। সংস্থার নিকটবর্তী সার্ভিস সেন্টারে গেলেই পাওয়া যাবে এই সুবিধা।
বাইকটিতে রয়েছে এলইডি হেডলাইট এবং প্রজেক্টর বিম যা রাতের অন্ধকারে পর্যাপ্ত আলো দিতে সক্ষম।
ইলেকট্রিক বাইকটির সামনে আর পিছনের চাকায় রয়েছে ‘অ্যালয় হুইল’। এ ছাড়াও এমআরএফ জ্যাপার টায়ার যে কোনও রাস্তা স্বচ্ছন্দে পার করতে সম্ভব।
বাইকটির কনসোলে কতটা চার্জ আছে, বাইকটি কত ঘণ্টা চলেছে, স্পিডোমিটার এবং ট্র্যাকোমিটার ছাড়াও বাইকটিতে কোনও ত্রুটি দেখা দিলে তা-ও দেখাবে কনসোলে।
ভারতে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক এই মোটরবাইকের বুকিং শুরু হবে চলতি মাসের ২৫ তারিখ। সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে এবং ই-কমার্সের নানা সাইট যেমন আমাজন, ফ্লিপকার্ট থেকেও বুক করা যাবে।
বাইকটি বাজারে আসবে চলতি বছরের জুলাই মাস নাগাদ। পরবর্তী চার মাসে দিল্লি এনসিআর, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুণে, মুম্বই প্রভৃতি শহরেও বুকিং শুরু হবে।