রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ওয়াই ভি রেড্ডির।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বনিয়ন্ত্রণের অধিকার কতখানি থাকবে, তা আসলে কেন্দ্রের ইচ্ছের উপরই নির্ভরশীল বলে দাবি শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ওয়াই ভি রেড্ডির। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সভায় তিনি বলেন, আইনি দিক থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বনিয়ন্ত্রণের অধিকার সীমিত। তবে, কার্যক্ষেত্রে তারা বেশি স্বাধীনতা পেয়ে এসেছে। কিন্তু তা নির্ভর করছে কেন্দ্রের ইচ্ছের ওপর। ভবিষ্যতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তে কেন্দ্র আরও বেশি হস্তক্ষেপ করলে, তা বেআইনি হবে না। কিন্তু শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা না থাকা অর্থনীতির পক্ষে কতটা ক্ষতিকর, তা নিয়ে সংশয় যথেষ্ট ।
একই সঙ্গে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণে বর্তমান গভর্নর উর্জিত পটেল যে বাড়তি ক্ষমতা চেয়েছেন, তাকে কার্যত সমর্থন করেছেন রেড্ডি। এ দিন বিকেলে বন্ধন ব্যাঙ্কের তৃতীয় বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ওই সব ব্যাঙ্কে পরিচালনা ও নীতি তৈরির ভার সরকারের। আর তা ঠিক মতো মানা হচ্ছে কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। তাঁর মতে, এটা মস্ত সমস্যা। বছর পঁচিশ আগে নরসিংহ কমিটি তা মেটানোর সুপারিশ করলেও, তা এখনও কার্যকর হয়নি।
রেড্ডির দাবি, অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যাও বহু দিনের। তবে তা মোকাবিলায় ব্যাঙ্ক সংযুক্তি সমাধান নয়। তিনি বলেন, একটি দুর্বল ব্যাঙ্ককে তুলনায় ভাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে মেশালেই যে তা ভাল ফল করবে, এমন নয়। বরং ব্যাঙ্ক বহরে বেশি বাড়লে সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে আগে জরুরি স্বচ্ছ পরিচালনা। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মানুষের টাকা সুরক্ষিত বলে দাবি করে তিনি বলেন, এই ব্যাঙ্কগুলি সংসদীয় আইন মেনে তৈরি। ফলে তারা নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করতে পারে না।
নোট বাতিল নিয়ে রেড্ডির দাবি, এতে কালো টাকা ফিরবে, তা ভাবা ভুল ছিল। বরং রাতারাতি যত নতুন নোট ছাপার প্রয়োজন হয়েছিল, তার পরিকাঠামো কোনও দেশে নেই। ফলে স্বাভাবিক ছিল নগদ সঙ্কটও।