ব্যাঙ্কগুলির ঘাড়ে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা কমাতে ঋণ ঢেলে সাজার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নতুন নীতি ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ওই লক্ষ্যে এমনকী ধার শুধতে না-পারা সংস্থার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার পথও ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলির জন্য সুগম করল তারা।
সোমবার শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, কোনও সংস্থা সময়ে ধার শোধ দিতে ব্যর্থ হলে, তাকে দেওয়া পুরো বা আংশিক ঋণ শেয়ারে রূপান্তরিত করা হবে কি না, সে বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ঋণদাতা ব্যাঙ্ককে। সংস্থার ঋণের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার ৩০ দিনের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা জরুরি বলে জানিয়েছে তারা।
শুধু তা-ই নয়। অনেক সময়েই দেখা যায়, ঋণকে শেয়ারে বদলে ফেলেও সমস্যার সুরাহা হয় না। কারণ দক্ষ পরিচালনার অভাবে সেই সংস্থা ধুঁকতে থাকে। ফলে সেই সংস্থার শেয়ার হাতে নিয়ে সুবিধা করতে পারে না ব্যাঙ্ক। তাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাওয়াই, ওই সব ক্ষেত্রে সংস্থার অন্তত ৫১% (বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমায় আটকালে ২৬%) মালিকানা নিতে হবে ঋণদাতা ব্যাঙ্ককে। যাতে সিংহভাগ অংশীদারি পকেটে থাকার দৌলতে পেশাদার পরিচালনার মাধ্যমে সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর পথ প্রশস্ত করা যায়।
সাধারণত বাজারে নথিভুক্ত সংস্থার শেয়ার এ ভাবে কেনার ক্ষেত্রে খোলা বাজারে প্রস্তাব দিতে হয়। কিন্তু শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র নিয়ম অনুযায়ী এই সব ক্ষেত্রে ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলির উপর সেই বাধ্যবাধকতা চাপবে না বলেও জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।