—প্রতীকী ছবি।
গুজরাতে শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ থেকে যখন লগ্নিকারীদের পুঁজি নিয়ে আশ্বস্ত করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তখন চর্চার কেন্দ্রে ভারতে নীতি বদল নিয়ে ফরাসি গাড়ি সংস্থা রেনোর উষ্মা। যারা ভারতে নতুন মডেল তৈরির পাশাপাশি বিপণন পরিকাঠামো সম্প্রসারণের জন্য সহযোগী জাপানের নিসান মোটরের সঙ্গে যৌথ ভাবে এ দেশে প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা (৬০ কোটি ডলার) বিনিয়োগ করার বার্তা দিয়েছে বটে। তবে একই সঙ্গে বলেছে, এ বার থেকে এখানে সরকারি নীতিগুলি চূড়ান্ত হওয়ার আগে কোনও লগ্নি করবে না তারা। কারণ কেন্দ্র প্রতিটি যাত্রিবাহী গাড়িতে ছ’টি এয়ারব্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে বলার পরে সেই খাতে বিপুল লগ্নি করেছিল রেনো। অথচ পরে সেই নীতি থেকে পিছিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলে গিয়েছে সংস্থার সমস্ত খরচ। কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেই রেনোর কর্তা বলেন, গাড়ি শিল্পের ক্ষেত্রে সরকার যে নীতি নেবে তা মেনে চলা জরুরি। যাত্রীদের সুরক্ষার সঙ্গে আপস করা উচিত নয়।
দেশে ২০২৫-এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির পাশাপাশি এসইউভি-সহ নতুন ৫টি গাড়ি আনার পরিকল্পনা রেনোর। তার পরেও এই সম্ভাবনাময় বাজারে লগ্নি চালাতে আগ্রহী সংস্থা। তবে এয়ারব্যাগের নীতি থেকে কেন্দ্রের পিছু হটা নিয়ে কার্যতই অসন্তুষ্ট তারা। এক সাক্ষাৎকারে এ দেশে সংস্থার প্রধান বেঙ্কটরাম মামিল্লাপাল্লে বলেন, ভারতে গাড়ি শিল্পের ক্ষেত্রে সরকার যদি কোনও নীতি প্রণয়ন করার কথা বলে, তা হলে তা কার্যকর করা উচিত।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রেনোর মতো বিদেশি সংস্থার নীতি কার্যকর করা নিয়ে এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। শিল্পের পক্ষে আশঙ্কারও। কারণ, লগ্নির ক্ষেত্রে নীতি স্থিতিশীল হওয়া জরুরি। না হলে সম্ভাবনা থেকেও লাভ হবে না।
গত বছর কেন্দ্রই বলেছিল, ভারতে ২০২৩ সালের ১ অক্টোবরের পরে যে সব নতুন গাড়ি আসবে সেগুলিতে ৬টি করে এয়ারব্যাগ থাকতে হবে। তবে এ নিয়ে আপত্তি ছিল গাড়ি শিল্পের একাংশের। পরে সেই নীতি কার্যকর করা থেকে পিছিয়ে যায় কেন্দ্র। রেনো জানিয়েছে, তাঁরা নীতি অনুযায়ী গাড়িতে ৬টি করে এয়ারব্যাগ লাগাতে কারিগরি খাতে লগ্নি করেছেন। পরে তা কার্যকর না করায় লগ্নি জলে গিয়েছে।