রতন টাটা এবং সাইরাস মিস্ত্রি। ফাইল চিত্র।
টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পদ থেকে সাইরাস মিস্ত্রিকে অপসারণের মামলার পুনর্বিবেচনার শুনানিতে সম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট। সাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি সাইরাসের আবেদনে সাড়া দিয়ে সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী ৯ মার্চ মামলা পুনর্বিবেচনার আবেদনের (রিভিউ পিটিশন) শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ রতন টাটার সংস্থাকে কিছুটা চাপে ফেলল বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছরের মার্চেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, ২০১৬ সালে সাইরাস মিস্ত্রিকে সরানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আইন ভাঙেনি টাটা গোষ্ঠী। ওই রায়ের পর টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান রতন টুইটারে লিখেছিলেন, ‘এই রায় দেওয়ার জন্য মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
২০১২ সালে রতন টাটার পর সাইরাস মিস্ত্রিকে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানের পদে বসানো হয়। কিন্তু চার বছরের মাথায় ২০১৬ সালে হঠাৎই সাইরাসকে সরিয়ে দেয় টাটা গোষ্ঠী। পদে বসানো হয় টাটা কর্ণধার রতনের ঘনিষ্ঠ নটরাজন চন্দ্রশেখরনকে। সেই সেই সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে জাতীয় কোম্পানি আইন আবেদন ট্রাইবুন্যালে (ন্যাশনাল ল’ অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল বা এনসিএলএটি) যান মিস্ত্রি।
২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর সেই আবেদনের ভিত্তিতে ট্রাইবুন্যাল জানিয়ে দেয়, সাইরাসকে পদ থেকে নিয়ম মেনে সরানো হয়নি। তাঁকে টাটা শিল্পগোষ্ঠীর (টাটা সন্স) চেয়ারম্যান পদে পুনর্নিয়োগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
টাটা গোষ্ঠী সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে। সেখানে সাপুরজি-পালনজির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবরে মিস্ত্রিকে সরানো কর্পোরেট আইনের হত্যা। টাটা গোষ্ঠী বলে, আইনের মধ্যে থেকেই মিস্ত্রিকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এনসিএলএটি নির্দেশ খারিজ করে টাটার পক্ষেই রায় দেয় শীর্ষ আদালত।