—ফাইল চিত্র।
আগামী ২০২৭ সালের ১৯ এপ্রিল ৭০ বছরে পা দেবেন মুকেশ অম্বানী। তার পরেও তাঁকে চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) রেখে দিতে শেয়ারহোল্ডারদের বিশেষ অনুমোদন চাইল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়। মুকেশের ওই পদে থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল। এর পরে আরও পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে সিএমডি রাখতে চায় সংস্থা। এমনিতে তাদের নিয়ম অনুসারে ৭০ বছরের পরে কেউ কর্ণধার থাকতে পারবেন না। কিন্তু মুকেশের আমলে সংস্থার সম্প্রসারণ এবং তাঁর নেতৃত্বের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রিলায়্যান্স।
পাশাপাশি, বলা হয়েছে গত তিন অর্থবর্ষের মতো এই ক’বছরেও কোনও বেতন বা মুনাফার উপরে ভিত্তি করে পাওয়া অন্যান্য আর্থিক সুবিধা নেবেন না রিলায়্যান্স কর্ণধার। প্রসঙ্গত, করোনার মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রথম বেতন না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুকেশ। তার আগে ২০০৮-০৯ সাল থেকে তা বেঁধে রেখেছিলেন বছরে ১৫ কোটি টাকায়।
১৯৭৭ সালে প্রথম রিলায়্যান্সের পর্ষদে এসেছিলেন মুকেশ। চেয়ারম্যান হন বাবা ধীরুভাই অম্বানীর মৃত্যুর পরে ২০০২ সালে। তাঁর আমলে কলেবরে রিলায়্যান্স বেড়েছে বহু গুণ। পা রেখেছে রিটেল, টেলিকম, অপ্রচলিত বিদ্যুতের মতো ক্ষেত্রে। রবিবার বার্ষিক রিপোর্টে স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের বাজার ধরা ও রিটেল ব্যবসায় জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন, আর্থিক পরিষেবা ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্ল্যাকরকের সঙ্গে জোট বেঁধে আগামী দিনে মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবসায় পা রাখা এবং রিলায়্যান্স জিয়োতে সুইডেনের রফতানি ক্ষেত্রের ঋণদাতা সংস্থার ২২০ কোটি ডলার সাহায্যের কথাও।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আগামী দিনে নিজের তিন সন্তানের মধ্যে যাতে বিরোধ না বাধে, সে জন্য ছেলে আকাশ, অনন্ত এবং মেয়ে ইশাকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্ব ভাগ করে মুকেশ। এর পরেও কর্ণধার থেকে সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য আরও বেশি করে প্রস্তুত করতে মূলত উপদেষ্টার কাজই করবেন তিনি।