Kamakhya Express Derailed

কামাখ্যা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা: মৃত্যু বাঙালি যাত্রীর! অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করিয়ে ফিরছিলেন আলিপুরদুয়ারের শুভঙ্কর

পরিবার সূত্রে খবর, মা চিত্রা রায়কে বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন শুভঙ্কর। সেখান থেকেই ফিরছিলেন দু’জনে। দুর্ঘটনায় শুভঙ্করের মৃত্যু হলেও তাঁর মা অক্ষতই রয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ১৮:১৯
Share:
আলিপুরদুয়ারের শুভঙ্কর রায়ের মৃত্যু কামাখ্যা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায়।

আলিপুরদুয়ারের শুভঙ্কর রায়ের মৃত্যু কামাখ্যা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায়।

ওড়িশার কটকে কামাখ্যা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় একমাত্র মৃত যাত্রী বাঙালি। তাঁর নাম শুভঙ্কর রায় (২২)। তিনি আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, মা চিত্রা রায়কে বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন শুভঙ্কর। সেখান থেকেই ফিরছিলেন দু’জনে। দুর্ঘটনায় শুভঙ্করের মৃত্যু হলেও তাঁর মা অক্ষতই রয়েছেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভঙ্কর আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি একটি স্টিল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। তাঁর মায়ের হার্টের সমস্যা ছিল। ছেলে তাঁকে বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। বাড়িতে শুভঙ্করের মৃত্যুর খবর পৌঁছোনোর পরেই সেখানে যান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। গিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর।

রবিবার সকালে কটকে লাইনচ্যুত হয় কামাখ্যা এক্সপ্রেস। পূর্ব উপকূলীয় রেলের সূত্র উল্লেখ করে ওড়িশা টিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে কামাখ্যা এক্সপ্রেসের গতি ছিল অত্যন্ত কম। লাইনে কোনও গোলমাল থাকায় প্রথমে ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। সেই ধাক্কার অভিঘাতে পরে আরও ১০টি বগি লাইন থেকে সরে যায়। এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হন সাত জন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল যাত্রিবাহী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে ওই ট্রেনের ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে তিনটি বগি পাশের লাইনে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। কটকে কামাখ্যা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা দু’বছর আগের সেই স্মৃতি আবার উস্কে দিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement