—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাড়িতে বসে নেট বাজার থেকে জিনিসপত্র কেনার পথে আর এক ধাপ এগিয়ে এখন দ্রুত তা হাতে পেতে চাইছেন ক্রেতা। ফলে মাথা তুলছে চটজলদি পণ্য পৌঁছনোর (কুইক কমার্স) ব্যবসা। সেই বাজারে এ বার সুইগি, জ্যোম্যাটোর শাখা ব্লিঙ্কিট, জ়েপটোর মতো সংস্থার সঙ্গে পাল্লা দিতে নামল মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স রিটেল। নেট এবং দোকান, দুই মাধ্যমেই খুচরো পণ্য বিক্রি করে যারা। মুকেশের দাবি, অর্ডার দেওয়ার ১০-৩০ মিনিটের মধ্যে তা পৌঁছনোর লক্ষ্য তাঁদের। আপাতত মুম্বইয়ে পরিষেবা শুরু হয়েছে। আগামী দিনে ছড়ানো হবে অন্যান্য শহরে।
কুইক কমার্স ব্যবসার এ বছর ৬০০ কোটি ডলার (প্রায় ৫০,৪০০ কোটি টাকা) ছোঁওয়ার সম্ভাবনা। ২০২০ সালেও যা ছিল ১০ কোটি ডলার (প্রায় ৮৪০ কোটি টাকা)। এই বাজার ধরতেই দেশের ১১৫০ শহরে নিজেদের ৩০০০টি সুপারমার্কেটকে কাজে লাগাতে চায় রিলায়্যান্স রিটেল। লক্ষ্য, নির্দিষ্ট কিয়স্কের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছনো। সে জন্য জিয়ো মার্ট অ্যাপ মারফত অর্ডার দিতে পারবেন ক্রেতা। তবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মতো ১০ মিনিটে পৌঁছনোর প্রতিশ্রুতি দেয়নি তারা।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কয়েক মিনিটে পণ্য পৌঁছে কুইক কমার্স সংস্থাগুলি প্রতিযোগিতার মুখে ফেলছে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজ়নের মতো ই-কমার্সকে। যাদের পণ্য পেতে কয়েক দিনও লেগে যায়। এই সমস্যায় পড়েছে রিলায়্যান্স রিটেলও। ৩০০০ জনকে নিয়ে উপদেষ্টা ডাটুম-এর সমীক্ষা বলছে, ৩৬% ক্রেতা সুপারমার্কেটে যাওয়া কমিয়েছেন। মুদি দোকানে কেনা কমিয়েছেন ৪৬%। বাড়ছে ব্লিঙ্কিটের মতো সংস্থার বিক্রি।