কেনাবেচার ক্ষেত্রে একাধিক স্তরের করের জেরে ফ্ল্যাট কেনার খরচ বাড়ে। অথচ ৮৫% ক্রেতাই মধ্যবিত্ত। প্রতীকী ছবি।
অতিমারির ঢেউ সামলে বেশ কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের আবাসন ক্ষেত্র। এর মধ্যে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, গৃহঋণের খরচ বৃদ্ধির মতো কিছু সমস্যা এলেও অদূর ভবিষ্যতে ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাই। তবে সার্বিক ভাবে আবাসন ব্যবসায় আরও গতি আনতে ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে ফ্ল্যাটের জোগান বৃদ্ধি, সে জন্য কর ছাড়-সহ নির্মাণের খরচ হ্রাস, সব ক্ষেত্রেই জিএসটি ফেরতের (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) সুবিধা, দ্রুত প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মনে করছে তারা। শনিবার কলকাতায় সংগঠনটির কার্যকরী কমিটি এবং পরিচালন পর্ষদের (ইসিজিসি) বৈঠকে এই বিষয়গুলিই উঠে এল।
তিন মাস অন্তর ক্রেডাইয়ের ইসিজিসির বৈঠক বসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এক দশকেরও বেশি সময় পরে এ দিন কলকাতার বৈঠক হল। দায়িত্বে ছিল সংগঠনের রাজ্য শাখা ক্রেডাই ওয়েস্ট বেঙ্গল। পরে সংগঠনের সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন পাতোদিয়ার দাবি, গৃহঋণ বাড়লেও তা চাহিদায় স্বল্পমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। ২০২৩ সালেও ব্যবসা ভালই হবে।
ইতিমধ্যেই আসন্ন বাজেটের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ করেছে আবাসন ক্ষেত্র। ক্রেডাইয়ের রাজ্য শাখার প্রেসিডেন্ট সুশীল মোহতা এবং ক্রেডাই-বেঙ্গলের (কলকাতা শাখা) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নন্দু বেলানি জানান, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, সুদের হার, বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ, সাধ্যের মধ্যে আবাসন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর ব্যবস্থা, পরিবেশ-সহ বিভিন্ন ছাড়পত্রের মতো আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
সুশীলের বক্তব্য, আবাসনকে আরও বেশি করে ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখা জরুরি। কেনাবেচার ক্ষেত্রে একাধিক স্তরের করের জেরে ফ্ল্যাট কেনার খরচ বাড়ে। অথচ ৮৫% ক্রেতাই মধ্যবিত্ত। তাই সাধ্যের মধ্যে থাকা আবাসনের জোগান বাড়াতে করের সরলীকরণ দরকার।
ক্রেডাই বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ পানসারি জানান, বৈঠকে রাজ্যে আবাসন শিল্পের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন হিডকোর এমডি দেবাশিস সেন। বলেন ডেটা সেন্টার, স্কুল-সহ নানা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রকল্পেরসুযোগের কথাও।