প্রতীকী চিত্র
ভারতে সহজে ব্যবসার পরিবেশ গড়ার সাফল্য তুলে ধরতে বরাবরই সচেষ্ট মোদী সরকার। চিন থেকে কোনও সংস্থা ব্যবসা গোটালে ভারতে বিকল্প ঠাঁই দেওয়ার জন্যও আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। কিন্তু কেন্দ্রের নীতির সার্থকতা নিয়ে শিল্প মহলের প্রশ্নের মুখে পড়ে নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে সারস্বত মানলেন, লাল ফিতের ফাঁস বা চড়া করের হার এখনও দেশে ব্যবসার পরিপন্থী। আত্মনির্ভর ভারতের পক্ষে সওয়াল করলেও তিনি মেনেছেন, পরিকাঠামো নির্মাণে চিনের থেকে বহু যোজন পিছিয়ে ভারত।
শুক্রবার ক্যালকাটা চেম্বারের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠকে সারস্বত আর্থিক উন্নয়নে কেন্দ্রের পরিকল্পনা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, এটা ঠিক যে, নানা আইনি জটিলতা রয়েছে দেশে। কর, বিদ্যুৎ, পরিবহণের চড়া খরচ শিল্প ও ব্যবসা গড়ার ক্ষেত্রে বাধা। উন্নত দেশ জিডিপি-র ২%-৪% গবেষণায় খরচ করলেও ভারতে তা মাত্র ০.৭%।
বণিকসভার এক কর্তার প্রশ্ন ছিল, ‘‘২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী অনেক
কিছু করার কথা বললেও, ছ’বছরে কত বিদেশি লগ্নি এসেছে, আপনি জানেন! ...সরকারি নীতিতে কি খামতি
আছে?’’ আর এক কর্তার কথায়, চিন অর্থনীতিকে খুলে দিয়ে পরিকাঠামো তৈরি করেছে। ভারতে কতটা হয়েছে? সারস্বতের দাবি, চিন ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশ নয়। তাই সেখানে বহু সিদ্ধান্ত সহজে নেওয়া যায়। তবে বিদেশি লগ্নি টানতে কেন্দ্র কমিটি গড়েছে। দ্রুত তা রূপায়নই লক্ষ্য।