প্রতীকী ছবি।
তৃতীয় দফার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার পেট্রল, ডিজেলে যুক্তমূল্য কর (ভ্যাট) বাড়িয়ে কোষাগার ভরার পথে হেঁটেছে দিল্লির আপ সরকার। আর এ দিনই রাতে এক ধাক্কায় পণ্য দু’টির উৎপাদন শুল্ক রেকর্ড অঙ্ক বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।
পরোক্ষ কর পর্ষদ জানিয়েছে, লিটারে বিশেষ অতিরিক্ত উৎপাদন শুল্ক ২ টাকা ও রোড সেস ৮ টাকা ধরে পেট্রলের শুল্ক বাড়ছে ১০ টাকা। ডিজেলের তা যথাক্রমে ৫ টাকা ও ৮ টাকা ধরে মোট শুল্ক বাড়ছে ১৩ টাকা। এর হাত ধরে রাজকোষে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা ভরার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। তবে এ বারও শুল্ক বাড়ায় দাম বাড়বে না বলেই দাবি শিল্পের। তেল সংস্থাগুলি বাড়তি কর নিজেরাই তা বহন করবে বলে খবর।
গত ক’মাসে বিশ্ব বাজারে তলানিতে নেমেছে অশোধিত তেলের দর। আবার লকডাউনে রাস্তায় গাড়ি সে ভাবে না-থাকায় চাহিদাও কমেছে তেলের। এরই মাঝে কোষাগার ভরতে মার্চে পেট্রল, ডিজেলে উৎপাদন শুল্ক লিটারে ৩ টাকা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তার জেরে পণ্য দু’টির দাম বাড়েনি ঠিকই, কিন্তু কম দামের সুবিধাও পায়নি মানুষ।
এ দিকে লকডাউনে আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় ভুগছে রাজ্যগুলি। কোষাগার ভরতেই পেট্রলে ভ্যাট ২৭% থেকে বাড়িয়ে ৩০% করেছে দিল্লি। ফলে তার দাম লিটারে ১.৬৭ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১.২৬ টাকা। ডিজেলে শুল্ক ১৬.৭৫% থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০%। যার জেরে তার দর লিটারে ৭.১০ টাকা বেড়ে পৌঁছেছে ৬৯.৩৯ টাকায়। মেট্রো শহরগুলির মধ্যে যা সর্বাধিক।
বিরোধী দল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই দিল্লির শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে। বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম দাবি করেছে পেট্রল, ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার। ট্রাক মালিকদের সংগঠন এআইএমটিসি-র মতে, এমনিতেই বাজারে জিনিসের চাহিদা নেই। এ বার দিল্লির এই সিদ্ধান্তে অত্যাবশ্যক পণ্যের পরিবহণও ধাক্কা খেতে পারে। তার উপরে কেন্দ্রের শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক চাপান-উতোর আরও বাড়ারই সম্ভাবনা।