Reserve Bank of India

ফের নজির ডলারের, আক্রমণের মুখে কেন্দ্র ও শীর্ষ ব্যাঙ্ক

ডলারের দাম ৩৩ পয়সা বেড়ে যে দিন নতুন রেকর্ড গড়ল, সে দিনই টাকার পতন নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আক্রমণ ধেয়ে এল আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের তরফ থেকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২১
Share:

ডলারের দাম ৩৩ পয়সা বেড়ে যে দিন নতুন রেকর্ড গড়ল, সে দিনই টাকার পতন নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আক্রমণ ধেয়ে এল আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের তরফ থেকে। তাদের বক্তব্য, এই পতন রুখতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। আর অন্য দিকে, একই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হাও।

Advertisement

মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ডলারের সাপেক্ষে বেশ কিছুটা উঠলেও, শেষ পর্যন্ত সেই বৃদ্ধি ধরে রাখতে পারেনি টাকা। বিশ্ব বাজারে ফের অশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ৮৪ ডলার ছাড়িয়েছে, এই খবর আসার পরেই ফের তা পড়তে শুরু করে। দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৭৪.৩৯ টাকায়। যা নতুন রেকর্ড।

গত সপ্তাহে ঋণনীতিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নর উর্জিত পটেল বলেছিলেন যে, অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতীয় টাকা এখনও যথেষ্ট ভাল জায়গায়। এই প্রসঙ্গেই মহাজনের দাবি, টাকার পতন নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। শেষ পর্যন্ত এর জের মানুষের উপরেই পড়ে। তাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উচিত সক্রিয় হওয়া।

Advertisement

একই সঙ্গে টাকা নিয়ে এ দিন কেন্দ্রের অর্থনীতিবিদদেরও একহাত নিয়েছেন মহাজন। তাঁর মতে, সরকারি পদাধিকারীদের বক্তব্যে মানুষ প্রভাবিত হন। তাই তাঁদের উচিত মন্তব্য করার আগে সতর্ক হওয়া। তিনি কোনও ব্যক্তির নাম না করলেও, সংশ্লিষ্ট মহলের মতে তাঁর লক্ষ্য নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।

এ দিকে টাকার পতন নিয়ে যশবন্তের তোপ, কেন্দ্র বার বার দাবি করছে বৃদ্ধির হার ভাল। তা হলে কেন টাকার এই অবস্থা? তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকার অর্থনীতি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

এই আক্রমণের মুখে টাকার দাম পড়া রুখতে চিন ও অন্যান্য দেশ থেকে সস্তার ইস্পাত আমদানিতে লাগাম পড়াতে চাইছে কেন্দ্র। ইস্পাত মন্ত্রকের ইঙ্গিত, কিছু পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানো হবে। অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন যে সব পণ্যে শুল্ক ৫-১২.৫%, তা বাড়িয়ে ১৫% করার প্রস্তাব রয়েছে। ইস্পাতমন্ত্রী চৌধুরী বীরেন্দ্র সিংহের বক্তব্য, টাকার দর ও চলতি খাতে ঘাটতি সামাল দিতেই শুল্কের কথা ভাবা হচ্ছে।

তবে শিল্প মহলের আশঙ্কা, শুল্ক বসলে মার খাবে ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প। কারণ এতে কাঁচামালের খরচ বাড়বে ও রফতানি ধাক্কা খাবে। যার চার ভাগের এক ভাগই ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প থেকে আসে। আবার রফতানি মার খেলে চলতি খাতে ঘাটতি বাড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement