ফাইল চিত্র।
দেশের বিপুল জনসংখ্যার একটা সামান্য অংশকে বিমার আওতায় আনা গিয়েছে। কেন্দ্র চাইছে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ুক। তার জন্য বিমার বাজারে আসুক আরও সংস্থা। এই প্রেক্ষিতে বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ-র তৈরি এক কমিটির সুপারিশ, ক্ষুদ্র বিমা সংস্থাগুলি যাতে সহজে ব্যবসা শুরু করতে পারে তার জন্য ন্যূনতম মূলধনের বিধি শিথিল করুক কেন্দ্র। তা ১০০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি করা হোক। ক্ষুদ্র বিমা সংস্থার সংখ্যা বাড়লে উপকৃত হবেন নিচু আয়ের মানুষ।
আইআরডিএ-র কমিটি জানিয়েছে, নিচু আয়ের মানুষদের কেন বিমার আওতায় আনা দরকার তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে অতিমারি। করোনার সময়ে যে ভাবে সাধারণ মানুষ চাকরি, ব্যবসা, রোজগার হারিয়েছেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে ভাবে ব্যয় বেড়েছে, তাতে তাঁদের বিমার আওতায় নিয়ে আসা না-গেলে ভবিষ্যতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। সে কারণেই দরকার বেশি সংখ্যক বিমা সংস্থা। সুপারিশে ওই কমিটি জানিয়েছে, ক্ষুদ্র বিমা সংস্থার ব্যবসার ন্যূনতম পুঁজি ১০০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হোক। সংস্থাগুলিকে জীবন বিমা-সহ অন্যান্য বিমা ক্ষেত্রেও ব্যবসা করতে দিতে হবে। ক্ষুদ্র বিমার প্রসারে সাহায্য করতে একটি তহবিল তৈরি করুক কেন্দ্র।