—প্রতীকী ছবি।
অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে আবাসন ক্ষেত্র। মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ানোর ফলে গৃহঋণের সুদ বাড়লেও, বাড়ির চাহিদায় তার বিরূপ প্রভাব পড়েনি। আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারক জানিয়েছিল, ২০২৩ সালে দেশের প্রথম সারির সাতটি শহরে বাড়ি বিক্রি সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ বছর (২০২৪) সাধারণ নির্বাচন। অতীতের কয়েকটি লোকসভা ভোটের বছরে আবাসনের বাজারের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তাদের ব্যাখ্যা, এ বারেও নতুন নজির তৈরি হওয়ার আশা যথেষ্ট। কারণ হিসেবে গত কয়েক বছরে নীতির ধারাবাহিকতা, ভাল আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসা, ক্রেতামহলের আগ্রহের মতো মাপকাঠিগুলির কথা তুলে ধরেছে তারা।
অ্যানারকের বক্তব্য, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনের সঙ্গে আবাসনের বাজারের একটা যোগসূত্র আছে। ওই দু’বছরই বিপুল উঠেছিল ওই সাত শহরের আবাসনের বাজার।
অ্যানারক জানাচ্ছে, ২০১৪ সালে ওই সাত শহরে ৩.৪৫ লক্ষ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছিল। নতুন প্রকল্প বাজারে এসেছিল ৫.৪৫ লক্ষ। সবটাই নজির গড়েছিল। ২০১৬-২০১৯ সাল পর্যন্ত আবাসন ব্যবসা কিছুটা স্তিমিত হয়। নোটবন্দি, আবাসন আইন (রেরা) ও জিএসটি— এ সব কাঠামোগত সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় ২০১৬ ও ২০১৭ সালে। এর ফলে দেশে আবাসন ক্ষেত্র (রিয়েল এস্টেট) অনেক বেশি সংগঠিত হয় ও নিয়ন্ত্রণের আওতায় আসে। এর পরে ২০১৯ সালে ২.৬১ লক্ষ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়। বাজারে আসে ২.৩৭ লক্ষ নতুন প্রকল্প। যা ২০১৫ সালের পরে ফের নজির। অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরীর মতে, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের ভোটের ফল ছিল অনেক বেশি নিশ্চিত। যার ভিত্তিতে আগ্রহী ক্রেতারা সম্পত্তি কেনার সিদ্ধান্ত নেন।
২০২০ সালে অতিমারি আবাসন ক্ষেত্রের গতিপথে দেওয়াল তোলে। বছর দুয়েক পরে অবশ্য ফের মাথা তুলতে শুরু করে ক্ষেত্রটি। ডিসেম্বরে অ্যানারক এক সমীক্ষায় জানিয়েছিল, গত বছরে ওই সাত শহরে প্রায় ৪.৭৭ লক্ষ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে। পুরীর দাবি, এ বছরও পরিস্থিতি আবাসনের বাজারের পক্ষে। অ্যানারক বলছে, এই ক্ষেত্রে প্রায় সমস্ত সংস্কার পর্বই সারা হয়েছে। আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতামহলেও।