—প্রতীকী চিত্র।
আবাসনের স্ট্যাম্প ডিউটি থেকে ছাড় উঠতেই বিরূপ প্রভাব পড়ল তার বিক্রিতে। বুধবার উপদেষ্টা সংস্থা নাইটফ্র্যাঙ্ক তাদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানিয়েছে, জুনের তুলনায় জুলাইয়ে কলকাতায় বাড়ি বিক্রি ১৮% কমেছে। গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় বিক্রি কম প্রায় ১৩%। জানুয়ারি থেকে শহরে বাড়ি বিক্রি ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছিল। জুলাইয়ে তা ধাক্কা খেল।
নাইট ফ্রাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে কলকাতায় মোট বাড়ি-ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে ৩৫০৬টি। যা জুনে ছিল ৪২৯২, গত বছরের জুলাইয়ে ৪০৩৬। শহরের পশ্চিমে বিক্রি সবচেয়ে বেশি কমেছে। তার পরে মধ্য কলকাতা।
অতিমারিতে যে সমস্ত ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছিল তার মধ্যে প্রথম সারিতে ছিল আবাসন। তাকে উৎসাহ দিয়ে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গও পদক্ষেপ করে। বাড়ি-ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশনের স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২% এবং সার্কল রেটে ১০% ছাড় ঘোষণা করা হয়। তার পর থেকে বাড়ির বিক্রি বাড়ছিল। সম্প্রতি সেই ছাড় তুলে নেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞেরা অনুমান করেছিলেন, ছাড় ওঠার পরে আবাসনের বিক্রি কিছুটা কমতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। নাইটফ্র্যাঙ্কের তথ্য অবশ্য বলছে, গত মাসে যে আবাসন বিক্রি হয়েছে তার প্রায় অর্ধেক কম দামি আবাসন। বিক্রি হওয়া মোট বাড়ি-ফ্ল্যাটের ৪৫ শতাংশের আয়তন ৫০০ বর্গফুটের মধ্যে। গত বছরের একই সময়ে এই শ্রেণির আবাসনের অনুপাত ছিল ২৭%। পাশাপাশি, বিলাসবহুল আবাসনের (১০০০ বর্গফুটের বেশি) অনুপাত ২২% থেকে নেমেছে ৮ শতাংশে। আবাসন সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাইয়ের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি সুশীল মেহতার বক্তব্য, ‘‘কলকাতায় বাড়ি বিক্রি কমার অন্যতম কারণ স্ট্যাম্প ডিউটির ছাড় তুলে দেওয়া। পশ্চিমবঙ্গে স্ট্যাম্প ডিউটি অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় বেশি।’’ নাইটফ্র্যাঙ্কের সিনিয়র ডিরেক্টর (পূর্ব) অভিজিৎ দাসের অবশ্য মত, ‘‘সামনে উৎসবের মরসুম। আবাসন বিক্রির হাল কিছুটা ফিরবে বলে আশা করছি।’’ তবে ছাড় উঠে যাওয়া যে বিক্রি কমার প্রধান কারণ, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনিও।