কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ফাইল চিত্র।
গত অর্থবর্ষে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জালিয়াতির সংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে একই সঙ্গে তাদের বার্ষিক রিপোর্ট বলেছে, প্রতারণায় জড়িত টাকার অঙ্ক কিছুটা কমেছে।
মঙ্গলবার শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) ১৩,৫৩০টি জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত রয়েছে ৩০,২৫২ কোটি টাকা। তার আগের অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৯০৯৭টি এবং টাকার অঙ্ক ৫৯,৮১৯ কোটি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে কার্ড বা নেট লেনদেনে প্রতারণার সংখ্যা বেশি। কিন্তু জালিয়াতির অঙ্ক তুলনায় কম। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অধিকাংশই ঋণজালিয়াতি। বেশি যুক্ত টাকার অঙ্কও।
অনলাইন লেনদেন যত বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে নিত্যনতুন পদ্ধতিতে প্রতারণা বাড়ছে বলে বহু দিনই সতর্ক করছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যদিও তাদের মতে, যত টাকার জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে, ততটা লোকসান হয় না। কারণ সেই টাকার কিছুটা উদ্ধার হলে ক্ষতি কমে। তবে কোনও বছরে যে সংখ্যক জালিয়াতির কথা সামনে আসে, তা তার বহু আগে থেকে চলতে পারে। যেমন গত বছরে যত অঙ্কের প্রতারণা ধরা পড়েছে, তার ৯৪.৫% হয়েছে তার আগে। এ জন্যই আরও কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।