রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। —ফাইল চিত্র।
একটি কার্ড নেটওয়ার্ক সংস্থাকে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির পরস্পরের মধ্যে কার্ডে লেনদেন আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ ওই নেটওয়ার্কের কার্ড মারফত একটি সংস্থা অন্য আর একটিকে টাকা মেটাতে পারবে না। আগে এই সংক্রান্ত মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিল আরবিআই। লিখিত বিজ্ঞপ্তি জারি করল বৃহস্পতিবার। ভিসা এবং মাস্টারকার্ডের মধ্যে কাকে লেনদেন বন্ধ করতে বলা হয়েছে খোলসা করেনি তারা। তবে সূত্রের দাবি নিশানা ভিসা-ই। শীর্ষ ব্যাঙ্ক সেখানে স্পষ্ট জানিয়েছে, তাদের নির্দেশে কার্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা মেটানোর প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের মৌখিক নির্দেশের কথা সামনে আসার পরে জল্পনা দানা বাঁধছিল। এতে কার্ডের মাধ্যমে স্কুলের টিউশন ফি এবং বাড়ি ভাড়ার টাকা মেটানোর মতো সাধারণ লেনদেন বন্ধ হবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়। তার মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্যাখ্যা দেয় আরবিআই। তারা জানিয়েছে, কিছু অভিযোগের বিস্তারিত তদন্ত করে দেখতে নির্দিষ্ট একটি কার্ডে লেনদেন বন্ধ রাখা হচ্ছে। যত দিন না পুরোটা খতিয়ে দেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তত দিন নির্দেশ বহাল থাকবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অভিযোগ অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার কারণ—
· কিছু ব্যবসায়িক সংস্থা কার্ডে টাকা নেয় না। একটি কার্ড নেটওয়ার্ক সংস্থার তৈরি ব্যবস্থায় তাই কিছু মধ্যস্থতাকারী সংস্থা কর্পোরেট সংস্থার থেকে কার্ডের মাধ্যমে টাকা নেয়। তার পরে তা আইএমপিএস, আরটিজিএস বা এনইএফটি মারফত মেটায়।
· ২০০৭ সালের ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস' (পিএসএস) আইন অনুযায়ী কার্ডের মাধ্যমে টাকা মেটানোর প্রক্রিয়া চালাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদন লাগে। কিন্তু বহু মধ্যস্থতাকারী সংস্থার তা নেই। অর্থাৎ তারা লেনদেন চালাচ্ছে বেআইনি ভাবে।
· মধ্যস্থতাকারী সংস্থাগুলির একাংশ টাকা মেটানোর প্রক্রিয়াটি চালাতে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, তা-ও পিএসএস আইন অনুযায়ী হয়নি। অথচ সেখানে মোটা টাকা জমানো হয়েছে।
· রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশিত কেওয়াইসি বিধিও মানা হয়নি অনেক ক্ষেত্রে।